অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার দেখতে চাই
একুশে সংবাদ : লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের খুনের ঘটনায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর গাফিলতির বিষয়টি স্পষ্ট। কারণ, পুলিশের নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে এবং এরপর খুনিরা নিরাপদে পালিয়ে যেতে পেরেছে। কাউকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা হলে হয়তো তা ঠেকানো অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে এবং অভিজিতের বাবা সে কারণেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘পুলিশ হয়তো আমার ছেলের খুন ঠেকাতে পারত না। কিন্তু পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে না থেকে তারা তো খুনিদের ধরতে পারত।’
ঘটনার সময় খুনিদের ধরতে ব্যর্থ পুলিশের এখন প্রথম কাজটি হচ্ছে এই খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা। এই হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে এরই মধ্যে আনসার বাংলা-৭ নামের একটি সংগঠন টুইট করেছে, অভিজিৎকে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দিয়েছে এমন লোকজনের নামও গণমাধ্যমে এসেছে। এ ছাড়া অতীতে একই কায়দায় এ ধরনের আরও কিছু খুনের ঘটনা ঘটেছে।
ডিবি পুলিশ এ ধরনের পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যেহেতু পুলিশের নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে এবং প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে, তাই জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আমরা আশা করব, সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে তারা খুনিদের ধরতে ও এর পেছনে কোন শক্তি বা মদদদাতা গোষ্ঠী রয়েছে, তা বের করতে সক্ষম হবে।
একই সঙ্গে এই ঘটনা থেকে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। নিরাপত্তাবলয়ের ভেতরে ঘটনাটি ঘটায় এটা মানতেই হবে যে এই ব্যবস্থার মধ্যে বড় ধরনের ত্রুটি রয়েছে। ফলে বিষয়টির একটি বিভাগীয় তদন্ত ও কোথায় সমস্যা ছিল, তা চিহ্নিত করা জরুরি।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০২-০৩-০১৫:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :