AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রানীক্ষেত রোগে মরছে হাজারো মুরগী, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা


Ekushey Sangbad

০২:০১ পিএম, মার্চ ৩, ২০১৫
রানীক্ষেত রোগে মরছে হাজারো মুরগী, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা

একুশে সংবাদ : রানীক্ষেত (নিউ ক্যাসেল ডিজিএস) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজারো মুরগী মারা যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের খামারিরা। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহে সিরাজগঞ্জে অন্তত ১ হাজার মুরগী মারা গেছে বলে দাবি করেছেন খামার মালিকরা। প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পরও রানীক্ষেত রোগে মুরগী মারা যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। এক্ষেত্রে সরকারি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে মুরগী মারা যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে খামার মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। খামার মালিক ও প্রাণী সম্পাদ অফিস সূত্র জানায়, প্রতিবছর শীতের শেষদিকে ও বসন্তের শুরুতে মুরগীর শরীরে রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এতে অক্রান্ত মুরগী মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি। গত দুই সাপ্তাহে সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায় ১ হাজার মুরগী মারা গেছে বলে খামার মালিকরা দাবি করেছেন। এটি মূলত ছোঁয়াচে রোগ। মুরগী অথবা ডিম থেকে এ রোগের বিস্তার লাভ করে। প্রাণী সম্পদ বিভিাগের পরামর্শের বাইরে যারা খুচরা বাজারের ভ্যাকসিন ব্যবহার করছেন সেসব খামারিরা এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে মুরগীর শরীরে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পাদ কার্যালয়। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের জগতগাতী গ্রামের খামারি রফিক সরকার বালেন, ‘রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহে তার খামারের দুই শতাধিক মুরগী মারা গেছে। ভ্যাকসিন দিলে ১০ ভাগ এবং ভ্যাকসিন না দিলে শতকরা ২০ ভাগ মুরগী মারা যাচ্ছে। মরে যাওয়া মুরগীগুলো ডিম দিতো। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’ একই ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ জানান, গত এক সাপ্তাহে তাদের খামারের প্রায় শতাধিক মুরগী রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় নাই বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার সরকার জানান, শীতের শেষ দিকে ও বসন্তের শুরুতে মুরগীর খামারে এ রোগ দেখা দেয়। তবে যেসব খামারি সরকারি ভ্যাকসিন ব্যবহার করেছেন সেসব খামারের মুরগী রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘অনেক খামারি আছেন,যারা বিভিন্ন কোম্পানির ভ্যাকসিন ব্যবহার করেন। এটির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এক খামারের মুরগী অন্য খামারে এবং এক খামারের ডিম অন্য খামারে স্থানান্তরের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।’ এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে সকল খামারিদের সরকারি ভ্যাকসিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০৩-০৩-০১৫:
Link copied!