একুশে সংবাদ : ময়মনসিংহের পর এবার বিভাগ হতে যাচ্ছে বৃহত্তর কুমিল্লা-নোয়াখালী ও বৃহত্তর ফরিদুপর অঞ্চল। আজ প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার সভাপতিেত্ব অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিভাগকে ভাগ করে বিশেষ করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল নিয়ে একটি এবং চট্টগ্রাম বিভাগকে ভাগ করে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে আরেকটি বিভাগ করা যায় কিনা সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসনিক সংস্কার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি (নিকার)। মন্ত্রিসভায় সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন উল্লেখ করে  তাঁর প্রয়াণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।২০১৩ সালে তার ইচ্ছায় বহু বাংলাদেশিকে বৈধতা দেওয়া হয়। সচিব জানান, ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সৌদি বাদশাহর মৃত্যুতে শোক জানাতে সৌদি আরব গেছেন। তিনি আরো জানান, রংপুর বিভাগ করার জন্য এর আগে যে ধরনের অনুশাসন দেওয়া হয়েছিল ময়মনসিংহসহ অন্য দুই বিভাগ করার জন্য সেই ধরনের অনুশাসন দেওয়া হয়েছে। এর কার্যক্রম গ্রহণ করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নিকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে তারা। এদিকে, মন্ত্রিসভা চা আইন-২০১৫-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। আইনটি প্রণীত হয়েছিল এরশাদের সামরিক শাসনের আমলে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনটিকে বাংলায় হালনাগাদ করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আজ এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইন লঙ্ঘন করলে সর্বনিম্ন ৬ মাস, সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া সামরিক শাসন আমলে করা বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন হালনাগাদ করে উপস্থাপিত বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।আইনটিতে শ্রমিকদের জন্য অর্থ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা চা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হবে। বিশেষ করে তাদের সন্তানের লেখাপড়া, বিয়ে ও দাফনের কাজে ব্যয় হবে। একুশে সংবাদ ডটকম/সেলিনা/০৩-০৩-২০১৫