AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কারাগারে লাখভীর রাজকীয় জীবন যাপন


Ekushey Sangbad

১১:৪২ এএম, মার্চ ৪, ২০১৫
কারাগারে লাখভীর রাজকীয় জীবন যাপন

একুশে ডেস্কঃ তিনি বছর ছয়েক ধরে কারাবন্দী বটে, তবে জীবনটা কাটাচ্ছেন বিলাসে গা ভাসিয়ে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০০ জন অতিথি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যায়। এজন্য কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারা কর্তৃপক্ষের কাছে এজন্য কোনো কৈফিয়তও দিতে হয় না। যখন তখন মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তাঁকে দিয়ে রেখেছেন কারাধ্যক্ষ।   এই ব্যতিক্রমী জেলখাটা আসামি হচ্ছেন আলোড়ন সৃষ্টিকারী মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ ওঠা জাকিউর রহমান লাখভি, যিনি জঙ্গি সংগঠন লস্কর–ই–তায়েবার (এলইটি) পরিচালন নেতা।   ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী লাখভি।। ঘটনার পরের মাসেই ৭ ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর থেকে বন্দী পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও ছয়জন সহযোগী। সম্প্রতি তাঁর বন্দী জীবন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিসিসি উর্দু।   নাম প্রকাশ না করে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দিন নেই রাত নেই। রাতে সপ্তাহের প্রতি দিন যেকোনো সময় কারাগারে তাঁর সঙ্গে লোকজন দেখা করতে পারেন।’ এর জন্য দর্শনার্থীদে কোনো বিশেষ অনুমতি নিতে হয় না। দিতে হয় না কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পরিচয়।   বিবিসির ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে লাখভি কারাগার থেকে এলইটির অভিযানের কলকাঠি নাড়েন। লাখভির কাছ থেকে মোবাইল ফোন সরিয়ে নিতে পাকিস্তানের সাবেক সেনা প্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানিকে অনুরোধ জানান যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা। এতে কান দেননি কায়ানি।   অভিযোগ রয়েছে, অবাধে অতিথিদের দেখা করার সুযোগ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগে লাখভি এলইটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে।’   কারাগারের ওই কর্মকর্তা বিসিসি উর্দুকে বলেন, তাঁর গ্রেপ্তারের পর থেকে এলইটির দৈনন্দিন কাজ একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধানের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর নাম আহমেদ। তবে লাখভিই এখনো নিষিদ্ধ এই সংগঠনের প্রধান। তিনি বলেন, গড়ে তিনি প্রতিদিন ১০০জন দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করেন।   দর্শনার্থীরা কারাগারের ভেতর তাঁর ব্যক্তিগত বাসস্থানে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সেখানে থাকেন না কোনো কারারক্ষী। তারা যতক্ষণ খুশি ততক্ষন সেখানে থাকতে পারেন। এমনকি সঙ্গে থাকা তাঁর ছয় সহযোগীও একই ধরনের ব্যাবস্হায় করাগারে থাকে।   প্রতিবেদনে লাখভিবে পাকিস্তানের ‘সবচেয়ে কুখ্যাত বন্দীদের’ একজন বলে উল্লেখ করা বলা হয়, গত ডিসেম্বরে পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে তালেবান হামলায় নিহত হয় শিশুশিক্ষার্থীসহ ১৫৩জন। এরপরপরই দেশটিতে সরকার জঙ্গিদের এমনকি ‘ভালো’ জঙ্গিদেরও নিমূল করার ঘোষণা দেওয়ার পরও বিলাসী জীবনযাপন করছেন লাখভি।   গত ৮ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে সন্ত্রাসবিরোধী আদালত লাখভির গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। তবে এ আদেশকে ভারত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে পাকিস্তানকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানায়।   এরপরই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার মেইনটেনেন্স অব পাবলিক অর্ডার অধ্যাদেশের অধীনে আদিয়ালা কারাগারে থাকা লাখভির আটকাদেশের মেয়াদ বাড়ায়।   ২৬ ডিসেম্বর লাখভি এই আটকাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন। ২৯ ডিসেম্বর আদালত তাঁর আটকাদেশ স্থগিত করে জামিনে মুক্তির জন্য লাকভিকে ১০ লাখ রুপি জমা দিতে বলেন। ওই দিন রাতেই লাকভি জামিনের অর্থ জমা দেওয়ায় রাওয়ালপিন্ডির কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।   হাইকোর্টের ওই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লাকভির বিরুদ্ধে ইসলামাবাদে অপহরণের মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি আনোয়ার নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। ওই মামলায় রাতেই আবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হয়।   একুশে সংবাদ ডটকম/এইচ কে এস/০৪.০৩.১৫।
Link copied!