AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চট্টগ্রাম নগরীর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত


Ekushey Sangbad

১২:১৯ পিএম, মার্চ ৪, ২০১৫
চট্টগ্রাম নগরীর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত

একুশে সংবাদ : প্রার্থীদের মত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারাও। ইতোমধ্যে হালনাগাদের পর নগরীর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কেন্দ্র জরিপ এবং ভোটদানের জন্য কেন্দ্র প্রস্তুত করা, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মুদ্রণ, নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ আনুষাঙ্গিক আরও কিছু কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সার্বিক এসব কর্মকান্ড সম্পন্ন করার জন্য তফসিল ঘোষণার পর ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১০ সালের ১৭ জুন। নির্বাচিত পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২৭ জুলাই। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৬ ধারা অনুসারে নির্বাচিতদের মেয়াদ প্রথম সভা অনুষ্ঠানের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত। একই আইনের ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে আগামী বছরের ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ এক সংবাদ সম্মেলনে রমজানের আগেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এরপর জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা চসিক নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.খোরশেদ আলম বলেন, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়া মানে নির্বাচনের জন্য আমাদের বড় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন যেসব কাজ বাকি আছে সেগুলো তফলিস ঘোষণার আগে সম্ভব নয়। তফসিলের পর ১৫-২০ দিন সময় পেলে শেষ করতে পারব। এক কথায়, আমরাও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। ২০১০ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিল ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫৫ জন। হালনাগাদের পর বেড়েছে এক লক্ষ ৫৩ হাজার ৬২৮ জন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে ছয়টি জোনে বিভক্ত নগরীতে মোট ভোটার ১৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৮৩ জন। বন্দর জোনে ভোটারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৩৫ জন, চান্দগাঁও জোনে ২ লক্ষ ৯২ হাজার ২ জন, পাঁচলাইশ জোনে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার জন, ডবলমুরিং জোনে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৭১ জন, পাহাড়তলী জোনে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৫৬৭ জন এবং কোতয়ালি জোনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৭০৮ জন। ২০১০ সালের নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৬৭৩টি। এসব কেন্দ্র আগের অবস্থায় ভোটগ্রহণের উপযোগী আছে কিনা তা যাচাইবাছাইয়ের কাজ এখনও শুরু করেনি জেলা নির্বাচন অফিস। এছাড়া ভোটার বেড়ে যাওয়ায় এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.খোরশেদ আলম বলেন, সব কেন্দ্র হয়ত ঠিক নেই। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্কুলের ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হলে তা নির্বাচনের ২৫ দিন আগে করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর কেন্দ্র জরিপ এবং প্রস্তুতির কাজ শুরু করব। ২০১০ সালের নির্বাচনে তিনবারের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে নির্বাচিত হন তার শিষ্য হিসেবে পরিচিত এম মনজুর আলম। মহিউদ্দিন এবারও নির্বাচন করার আগ্রহের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে আছেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনও। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নে ২০১০ সালে নির্বাচিত বর্তমান মেয়র এম মনজুর আলম নির্বাচন কিংবা প্রার্থী হওয়া নিয়ে কিছুই বলছেন না। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাৎ হোসেন এর আগে মেয়র নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে শাহাদাৎ প্রকাশ্যে আসছেন না। নির্বাচন বিষয়ে চট্টগ্রামে বিএনপিরও সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছেনা। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০৪-০৩-০১৫:
Link copied!