একুশে স্পোর্টস ডেস্কঃ নেপিয়ারে ম্যাকলিন পার্কের উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব। অথচ এই উইকেটেই কি না টসে জিতে ফিল্ডিং নিল আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ তৌকির। হয় তো নিজেদের বোলিংয়ের ওপর অনেক আস্থা তার। কিন্তু আটতে রাখতে পারেনি পাকিস্তানিদের। বরং উল্টো পাকিস্তানের করা ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের বিশাল পাহাড়ের নীচে চাপা পড়তে হলো আরব আমিরাতকে।
যদিও দ্রুত পাকিস্তান ওপেনার নাসির জামসেদের উইকেট তুলে নিযে দারুন ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন মানজুলা গুরুগে। দলীয় ১০ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান জামসেদ। তিন ম্যাচে এ নিয়ে তার স্কোর দাঁড়াল ০, ১, ৪-এ।
ওয়ান ডাউনে নামা হ্যারিস সোহেলকে নিয়ে অপর ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ১৬০ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে দেন। ১০৫ বলে ৯৩ রানে রানআউট হয়ে যান শেহজাদ। ৮টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। হ্যারিস সোহেল আউট হন ৮৩ বলে ৭০ রান করে। ৫টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি।
এরপর শোয়েব মাকসুদ আর মিসবাহ-উল হক মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ৩১ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন মাকসুদ। ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। ৪৯ বলে ৬৫ রানে আউট হন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। তিনিও ৪টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন।
শেষ দিকে হঠাৎই পর পর দুই বলে মিসবাহ এবং উমর আকমলের উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন মানজুলা গুরুগে। তবে আফ্রিদি হতে দিলেন তার এই বিরল রেকর্ডটি। শেষ পর্যন্ত আফ্রিদির ৭ বলে ২১ এবং ওয়াহাব রিয়াজের ১ বলে এক ছক্কায় পাকিস্তানের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে।
পাকিস্তান: নাসির জামসেদ, শেহজাদ, হ্যারিস সোহেল, মিসবাহ, শোয়েব মাকসুদ, উমর আকমল, আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, রাহাত আলি এবং মোহাম্মদ ইরফান।
আরব আমিরাত: আমজাদ আলি, আন্দ্রি বেরেঙ্গার, কৃষ্ণ চন্দ্র, খুররম খান, শাইমান আনোয়ার, স্বপ্নিল পাতিল, রোহান মোস্তফা, আমজাদ জাভেদ, মোহাম্মদ নাভেদ, মোহাম্মদ তৌকির, মানজুলা গুরুগে।
আপনার মতামত লিখুন :