AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আল্লাহর আদালতে খ্রিস্টানদের সম্পর্কে ঈসা (আ.) এর বক্তব্য


Ekushey Sangbad

০২:২৮ পিএম, মার্চ ৪, ২০১৫
আল্লাহর আদালতে খ্রিস্টানদের সম্পর্কে ঈসা (আ.) এর বক্তব্য

একুশে সংবাদ : যখন আল্লাহ বলবেন, ‘হে মারিয়াম-পুত্র ঈসা, তুমি কি লোকদের বলেছিলে যে তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে প্রভুরূপে গ্রহণ (উপাস্য সাব্যস্ত) করো?’ ঈসা বলবে, ‘আপনি মহিমান্বিত! আমি কিভাবে সে কথা বলতে পারি, যা বলার অধিকার আমার নেই। যদি আমি তা বলতাম, তবে আপনি অবশ্যই তা জানতেন। আপনি তো আমার মনের কথাও জানেন, অথচ আপনার অন্তরের কথা আমি জানি না। নিশ্চয়ই আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সর্বাধিক জ্ঞাত।’ আপনি আমাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছাড়া অন্য কিছুই আমি তাদের বলিনি; তা এই যে তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর ইবাদত করো। আর যত দিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম তত দিনই তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী ছিলাম, অতঃপর যখন আপনি আমাকে তুলে নিলেন তখন আপনিই ছিলেন তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক। আর আপনিই সর্ববিষয়ে সাক্ষী। আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন, তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর যদি তাদের ক্ষমা করেন, তবে আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল্লাহ বলবেন, ‘আজকের দিনে সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত হবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটাই মহাসফলতা।’ আসমান-জমিন এবং এর মধ্যকার সব কিছুর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই। আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সুরা আল-মায়েদা : ১১৬-১২০) তাফসির: দীর্ঘ ভূমিকার পর আলোচ্য আয়াতগুলোতে আল্লাহর আদালতে খ্রিস্টান সম্প্রদায় সম্পর্কে হজরত ঈসা (আ.)-এর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রশ্নোত্তর পর্ব কিয়ামতের দিবসে সংঘটিত হবে। আল্লাহ বলবেন, ‘হে মারিয়াম-পুত্র ঈসা, তুমি কি লোকদের বলেছিলে যে তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার জননীকে ইলাহরূপে গ্রহণ করো?’ হজরত কাতাদা (রহ.) বলেন, ‘এ কথার মাধ্যমে খ্রিস্টানদের ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসের ওপর কঠোরভাবে কটাক্ষ করা হয়েছে। এ প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্নভাবে হজরত ঈসা (আ.) নিজের সাফাই পেশ করবেন এবং ত্রিত্ববাদীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন।’ ঈসা (আ.)-এর বক্তব্যের সারাংশ: ঈসা (আ.)-এর প্রথম নিবেদন হলো, ‘সুবহানাকা’- অর্থাৎ কোনো অংশীদারি থেকে আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। এরপর তিনি বলবেন, ত্রিত্ববাদ বিষয়ে কোনো কিছু বলার অধিকার আমার নেই। কেননা আমি আপনার প্রেরিত রাসুল ছিলাম। আপনার নির্দেশ ছাড়া অন্য কিছু আমি বলিনি। আর আপনি আমাকে একত্ববাদের নির্দেশই দিয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি যদি তাদের বহুত্ববাদের নির্দেশ দিতাম, তবে আপনি অবশ্যই তা জানতেন। কেননা আপনি হলেন অন্তর্যামী। আমি যত দিন দুনিয়াতে ছিলাম তত দিন পর্যন্ত তাদের অবস্থা আমার জানা ছিল। এরপর আপনি আমাকে আসমানে তুলে নেওয়ার পর কিভাবে ত্রিত্ববাদের সৃষ্টি হলো সে সম্পর্কে আপনিই অবগত। এখন যদি আপনি তাদের শাস্তি দেন, তবে সেটি পরিপূর্ণভাবে আপনার ক্ষমতাধীন। আর তা ন্যায়বিচার ও বিজ্ঞতাভিত্তিকই হবে। আর যদি আপনি তাদের ক্ষমা করে দেন, তবে এ ক্ষমাও অক্ষমতাপ্রসূত হবে না। কেননা আপনি মহাপরাক্রমশালী, সুবিজ্ঞ। আপনি চাইলে অপরাধীকে বিনা বিচারেও ছেড়ে দিতে পারেন। পরকালের সাফল্যই শ্রেষ্ঠতম সাফল্য: চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, কিয়ামতের দিন সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা খুবই উপকারে আসবে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এ আয়াতের অর্থ হলো, একত্ববাদীরা তাদের একত্ববাদের জন্য উপকৃত হবে।’ অতঃপর তাদের চিরশান্তির নীড় জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। আর চিরস্থায়ী জীবনের মুক্তি ও সুখ-শান্তি অর্জনই হবে শ্রেষ্ঠতম সাফল্য। (তাফসিরে মা’আরেফুল কোরআন ও ইবনে কাছির অবলম্বনে) একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০৪-০৩-০১৫:
Link copied!