AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাঠে মাঠে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পিঁয়াজ চাষ


Ekushey Sangbad

০২:১৯ পিএম, মার্চ ৪, ২০১৫
মাঠে মাঠে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পিঁয়াজ চাষ

একুশে সংবাদ : বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রতি বছর বাড়ছে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পিঁয়াজ বীজের চাষ। অত্যন্ত লাভজনক এই চাষে কৃষকরা সহজে স্বচ্ছলতার মুখ দেখছেন। কৃষকদের আগ্রহ আর কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এ অঞ্চলে প্রতিবছরই বাড়ছে পিঁয়াজ বীজের চাষ। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মওসুমে বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত শুধু রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলাতেই ৫০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের পিঁয়াজ বীজের চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে এই উপজেলায় পিঁয়াজ বীজ চাষ হয়েছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে। এর আগের বছর চাষ হয় মাত্র ১০০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ বলছে, বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি পিঁয়াজ বীজ চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়া এ বীজ চাষ অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর এ অঞ্চলের চাষিরা এ বীজ চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে পিঁয়াজ বীজ চাষে খরচ হয়ে থাকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর উৎপাদন বিঘা প্রতি তিন থেকে চার মণ। গত মওসুমে গোদাগাড়ীতে এই বীজ বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৯৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। ফলে ব্যাপকভাবে লাভবান হন চাষীরা। এজন্য প্রতি বছর গোদাগাড়ীতে পিঁয়াজ বীজের চাষ বাড়ছে। উপজেলার ভাটোপাড়া গ্রামের চাষী নুরুল ইসলাম জানান, গত তিন বছর ধরে তিনি পিঁয়াজ বীজ চাষ করে আসছেন। তার মতে, গোদাগাড়ীতে পিঁয়াজ বীজের চেয়ে ‘দামি’ ফসলের চাষ আর নেই। তাই অনেক কৃষক একে ‘কালো সোনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সারেংপুর গ্রামের চাষী কালু মিয়া জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে উৎপাদিত পিঁয়াজ বীজের মান অত্যন্ত ভালো। এ জন্য নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের চাষীরা প্রতি মৌসুমে এখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে থাকেন। মূলত তারাই গোদাগাড়ীর পিঁয়াজ বীজের মূল ক্রেতা। তবে কিছুটা হতাশার কথাও জানালেন আরেক চাষী আবুল কাশেম। উপজেলার মহিষালবাড়ি গ্রামের এই চাষী জানান, পিঁয়াজ বীজ চাষে কোনো লোকসান নেই একথা সত্য। তবে অনেক সময় ভারত থেকে বীজ আমদানির জন্য গোদাগাড়ীর বীজের দাম কমে যায়। এতে চাষীরা ভালো দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। আবার অনেক সময় ভারতীয় বীজ অবৈধ পথে আমদানি করার কারণে দেশি বীজ বাজারজাত করণেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হয়। এতে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই ভারতীয় পিঁয়াজ বীজ আমদানি বন্ধের দাবি জানান তিনি। তার মতে, ভিনদেশি ওই সব নিম্নমানের বীজ চাষ করে অনেক কৃষকই ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফলে প্রকৃত চাষীরা চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এর প্রভাব পড়ে দেশের সমগ্র পিঁয়াজ চাষে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোজদার হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছর পিঁয়াজের মৌসুম শুরুর আগেই কৃষকদের নিয়ে মাঠ কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি বিভাগ। সেখানে তাদের ভালো বীজ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। আর দেশি পিঁয়াজ বীজ বাজারজাতকরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি এড়াতে স্থানীয় চাষীদের কৃষি বিভাগের অনুমতিপত্র দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, অত্যন্ত লাভজনক পিঁয়াজ বীজ চাষে চাষীদের আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। এ লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীদের পিঁয়াজ বীজ চাষে প্রতি বছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন ফসলি মাঠে প্রদর্শনী প্লট করেও এর লাভ সম্পর্কে চাষীদের সরেজমিন ধারণা দেয়া হয়। যেন তারা এ চাষে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০৪-০৩-০১৫:
Link copied!