সনাতন বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোলযাত্রা অাজ
ঢাকা: সনাতন বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোলযাত্রা বৃহস্পতিবার। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ জুড়ে এদিন সকাল থেকে শুরু হবে এ
উৎসব। চলবে বিকেল পর্যন্ত।
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা পরস্পরকে রঙয়ের আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করবেন।
ঢাকায় মূল উৎসব হবে তাঁতিবাজার, শাঁখারীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে।
হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। অনেকের কাছে এটি আবার বৈষ্ণব হিন্দুদের প্রধান উৎসব হিসেবে গণ্য।
ভারতের বিভিন্ন স্থানে এ উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও রঙ গুলিয়ে নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন।
সনাতন হিন্দুদের বিশ্বাস সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও রঙ গুলিয়ে তাতে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন গানসহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এরপর ভক্তেরা আবির ও রঙ গুলিয়ে নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোল পূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্যের জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
তবে দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবির ও বিভিন্ন প্রকার রঙ গুলিয়ে খেলায় মত্ত
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব উদযাপনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ
ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ন্যুৎসব নেড়াপোড়া নামে পরিচিত।
অবশ্য উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন উদযাপিত হয়।
দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবীয় উৎসব। এটি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ‘হোলি উৎসব’ নামেও পরিচিত।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনের নন্দ কাননে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও রঙ নিয়ে তার সখী রাধা ও অন্যান্য ৩৩ হাজার গোপীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :