AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস নিয়ে ষড়যন্ত্র থাকলেও আমরা তা অতিক্রম করেছি’


Ekushey Sangbad

০২:৫৫ পিএম, মার্চ ২১, ২০১৫
‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস নিয়ে ষড়যন্ত্র থাকলেও আমরা তা অতিক্রম করেছি’

একুশে সংবাদ : “আমরা বর্তমানে যে হারে এগুচ্ছি, আমাদের যে এক্সপোর্ট টার্নওভার এবং বায়াররা যেভাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টসকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাতে আশা করি ২০২১ সালের মধ্যে পোশাকের রপ্তানি ৫০ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারব। তবে এ জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি সুস্থ ও স্থিতিশীল থাকা জরুরি।” বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পখাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি রেডিওকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের ডিরেক্টর ফাইনান্স ড. কামরুজ্জামান কায়সার। তিনি আরো বলেছেন, “বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮০ ভাগ আসছে গার্মেন্টস খাত থেকে। ফলে এ খাতে কিছু বাধা বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও সেগুলোকে টপকিয়ে কিন্তু আজ আমরা এ জায়গায় এসেছি।” ড. কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আছে এবং থাকবে। আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলো চাইবে না যে, আমরা আমাদের এই পণ্য দিয়ে সারাবিশ্বে একটা ব্রান্ড ইমেজ তৈরি করি। সে কারণে এসব বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। ড. কামরুজ্জামান কায়সার, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছর ২০২১ সালে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে চায় তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্প্রতি ‘ঢাকা অ্যাপারেল সামিট’ এর আয়োজন করল বিজিএমআইএ। বর্তমানে এ খাতের আয় ২৪ বিলিয়ন ডলার। সে ক্ষেত্রে ২০২১ সালের মধ্যে এ লক্ষ্য বস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা? ড. কামরুজ্জামান কায়সার : আপনি যথার্থই বলেছেন, ‘ঢাকা অ্যাপারেল সামিট’ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গার্মেন্টস খাতের আয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০বিলিয়ন ডলার। আমরা বর্তমানে যে হারে এগুচ্ছি, আমাদের যে এক্সপোর্ট টার্নওভার এবং বায়াররা যেভাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টসকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাতে আশা করি ওই লক্ষ্যমাত্রায় আমরা পৌঁছাতে পারব। আমাদের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি সুস্থ ও স্থিতিশীল থাকে তাহলে আমাদের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের টার্গেট যেভাবে এগুচ্ছে তাতে আগামী সাত বছরে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব। কারণ আপনারা জানেন, বায়াররা বাংলাদেশকে শ্রমঘন দেশ হিসেবে এবং শ্রমঘন শিল্প হিসেবে তাদের পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক দেশেই তারা গেছেন তবে ঘুরে ফিরে আবার বাংলাদেশে এসেছেন। আর তাদের আসার পেছনে বড় কারণ হচ্ছে আমাদের সস্তাশ্রম, কোয়ালিটি এবং ব্রান্ড ইমেজ। এরইমধ্যে আমরা সারাবিশ্বে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্রান্ডটা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে কি কি বাধা আছে বলে আপনার মনে হয় এবং সেগুলো দূর করতে গেলে কি করা জরুরি? ড. কামরুজ্জামান কায়সার: দেখুন, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কিছু বাধা তো থাকেই। তবে আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার চেয়ে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমেই বেড়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে এই শিল্পের যে অগ্রগতি হয়েছে, তাতে বিজেএমইএর পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। পাশাপাশি সব সরকারই আমাদের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮০ ভাগ আসছে গার্মেন্টস খাত থেকে। ফলে এ খাতে কিছু বাধা বিপত্তি থাকলেও ওগুলোকে টপকিয়ে কিন্তু আজ আমরা এ জায়গায় এসেছি। একটি স্বল্পোন্নত দেশে উন্নত বিশ্বের মতো এত স্বাভাবিক গতিতে শিল্পায়ন হয় না। সবমহলের সুদৃষ্টি আছে বলেই আমরা এ শিল্পে ভালোভাবে এগুতে পারছি। আর আমাদের বেসরকারি উদ্যোক্তারাও আগের চেয়ে অনেক বেশি সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাপারেল সামিটে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এটি অনেকের পছন্দ নয়। তাই তারা পোশাক খাতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য কতটা বাস্তব? আর যদি এমন ষড়যন্ত্র থেকেই থাকে তাহলে তা মোকাবেলার জন্য আপনারা কি সরকারের কাছে কোনো সহযোগিতা চেয়েছেন? ড. কামরুজ্জামান কায়সার: দেখুন, যেকোনো ব্যবসাতেই প্রতিযোগিতা থাকে। আর প্রতিযোগিতা থাকার অর্থ হচ্ছে- এক ধরণের সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের বিষয় থাকতে পারে। এ ষড়যন্ত্রকে প্রতিযোগিতামূলক ষড়যন্ত্র বলা যাবে। আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলো চাইবে না যে, আমরা আমাদের এই পণ্য দিয়ে সারাবিশ্বে আমরা একটা ব্রান্ড ইমেজ তৈরি করি। প্রকৃতপক্ষে, একটি মাত্র প্রোডাক্টের ওপর একটি দেশ এগিয়ে যাক এমনটি তারা চাইবে না। সেক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র থাকবেই। আপনারা লক্ষ্য করুন- আশির দশকের পর আমরা গার্মেন্টস শিল্পে আবির্ভূত হয়েছি। যারা ষাট বা সত্তরের দশকের দিকে বা তার আগে এসেছিল তারা কিন্তু এ শিল্প থেকে পিছিয়ে পড়েছে। আমি উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি ভারত, চীন এবং শ্রীলঙ্কার গার্মেন্টস খাতের বিশ্বে বেশ বড় ইমেজ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা বাংলাদেশের চেয়ে দাম এবং কোয়ালিটিতে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। ফলে এই ষড়যন্ত্রকে আমরা অন্যভাবে দেখছি না। এই ষড়যন্ত্রটা আসলে একটা প্রতিযোগিতামূলক ষড়যন্ত্র। যেকোনো ব্যবসা-বাণিজ্যে এটা থাকে। আর সেটাকে আমরা মোকাবেলা করছি আমাদের গুণগত মান এবং কমিটমেন্ট দিয়ে। তবে এসব ষড়যন্ত্র আমাদেরকে পিছিয়ে দিতে পারবে না বলে আমি আশা করি- যদি সরকারের সুদৃষ্টি, সহযোগিতা এবং পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। অনেকে বলাবলি করছেন যে, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক এখন কিছুটা শীতল। পোষাকখাতে আপনারা কি এর কোনো প্রভাব দেখছেন? অথবা প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন কি? ড. কামরুজ্জামান কায়সার: এ বিষয়টিকে আমি একটু অন্যভাবে বিশ্লেষণ করতে চাই। সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকার যে খারাপ সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে সেটি হতে পারে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। সেক্ষেত্রে এটি সরাসরি গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না। তবে কিছু কথা থেকেও যায়। আমেরিকা আমাদের যে জিএসপি সহযোগিতা দিত গত বছর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমরা সেটি এখনও পুনরুদ্ধার করতে পারি নি। এক্ষেত্রে একটা রাজনৈতিক সংশ্লেষণ হয়তো থাকতে পারে। তবে জিএসপির যে ক্যাটিগরিতে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটি আমাদের গোটা রপ্তানীর ওপর মাত্র শতকরা পয়েন্ট চার ভাগ। হয়ত বিষয়টি শুনতে এমন লাগে যে জিএসপি নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পে হুমকির মুখে পড়েছে। তবে আমি মনে করি এটি খুব ছোট পরিমাণের একটি বিষয়। তারপরও জিএসপি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ছোট হোক বা বড় হোক বিষয়টি কিন্তু ছোট করে দেখার নয়। কারণ আমাদের যারা বায়ার বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলো যাতে স্বাধীনভাবে জিএসপি বহাল রেখে আমাদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারে সে ইমেজটা কিন্তু আমাদের খুবই প্রয়োজন। আর সেই ইমেজের জন্য আমাদের রাজনৈতিক একটা মেরুকরণ দরকার। তবে আমরা ব্যবসায়ীরা জিএসপি নিয়ে যতোটা কনসার্ন সরকারের আরো বেশি কনসার্ন হওয়া উচিত তার ইমেজের জন্য। সরকার চাইবে যাতে জিএসপি বিষয়ক জটিলতা না থাকুক। এর ফলে সরকারের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবমর্যাদা আরো সমুন্নত হবে। বাংলাদেশের পোষাক খাতকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আপানারা সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছেন কেমন? বিদেশিদের সহযোগিতাই বা কেমন পান আপনারা? ড. কামরুজ্জামান কায়সার: গার্মেন্টস শিল্পে সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে সব সময় আমাদের একটা নিগোশিয়েশন করতেই হয়। সরকারের সীমাবদ্ধ সুযোগ সুবিধার মধ্যদিয়েই আমাদেরকে অনেক কিছু আদায় করে নিতে হয়। বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্প সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে বিষয়টিকে আমরা বড় বাধা বলে মনে করি সেটি হচ্ছে- আমাদের ‘ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ’। এটিকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য আমাদের প্রথম প্রয়োজন ‘ইউটিলিটি’। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন গ্যাস ও বিদ্যুৎ। এ দুটোর যদি সহজলভ্যতা না থাকে তাহলে আমাদের শিল্পায়ন হবে না। আমাদের অনেক শিল্প উদ্যোক্তা এমন আশা করেছেন যে, তারা গ্যাস পাবেন বিদ্যুৎ পাবেন। সেই আশায় তারা বহু টাকার মেশিনারিজ আমদানি করেছেন। তারা এখন অপেক্ষা করছেন কখন তারা গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাবেন। গ্যাস ও বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণে তারা তাদের কারখানা চালু করতে পারছে না। এটি হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য বড় বাধা। যদিও আমরা জানি- ১২ হাজার মেগাওয়াটের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এটি বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট হবে ২০১৭ সালের মধ্যে; সরকার এমনটিই বলছে। আর গ্যাসের বিষয়ে আমরা মাঝে মাঝে শুনি যে, বাংলাদেশ গ্যাসে ভাসছে। আবার মাঝে মাঝে শুনতে পাই- না, আমাদের গ্যাসে আর বেশি দিন চলবে না। আগামী ৫/৭ বছরের মধ্যে হয়তো গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। এ ধরণের নানা কথা চালু রয়েছে। আমাদের কাছে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকার কারণে সরকার অনেকটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে। সরকার ভাবছে আগে শিল্পের জন্য গ্যাস বিদ্যুৎ দেবে নাকি অভ্যন্তরীণ সংযোগুলো দেবে। শিল্পে গ্যাস বিদ্যুৎ দেয়ার আগে গৃহস্থালির সংযোগ আগে দেয়া দরকার এমন ভাবছে সরকার। কিন্তু আমরা মনে করি শিল্পে গ্যাস বিদ্যুতের সংযোগ আগে দেয়া হলে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়ন ঘটবে। এসব বিষয়ে সরকারের আরো বেশি সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। তবে পোর্ট ফ্যাসিলিটিজসহ কিছু ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সরকার বেশ খানিকটা লিবারেল হয়েছে। আপনারা জানেন যে, বর্তমানে কিছু কিছু পণ্য আমরা মংলা বন্দর দিয়ে রফতানি করি। আগে শুধুমাত্র আমরা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতাম। এখন বাড়তি পোর্ট ফ্যাসিলিটিজ পাচ্ছি। আর আন্তর্জাতিকভাবে যে বাধার কথা আপনি প্রশ্নের মধ্যে উল্লেখ করেছেন সেক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হচ্ছে, কোনো কোনো মহল বাংলাদেশের পণ্যের লেবেল পাল্টে অর্থাৎ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল পরিবর্তন করে অন্যের লেবেল দিয়ে আমাদের পণ্য বিক্রি করছে। অর্থাৎ লেবেলবিহীন অবস্থায় আমাদের পণ্য কিনে অন্যের লেবেল দিয়ে বর্হিবিশ্বে তারা মার্কেটিং করছে। এ ধরণের কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। এটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক একটা বাধা। আর কিছু প্রোপাগাণ্ডা আছে। যেমন- রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচকভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে। তখন বলা হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প রক্তমাখা। এখানে রক্তের দাগ লেগে আছে। এসব বিষয় আমাদেরকে সাময়িকভাবে বিব্রত করেছে। রানা প্লাজার বিষয়টি রানা প্লাজার। সেটি একটি আলাদা ঘটনা। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি আর ঘটবেও না বলে আমরা আশা করি। এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র আমাদের গার্মেন্টস শিল্প পর্যবেক্ষণে যেসব টিম পাঠিয়েছিল তারা আমাদের শতকরা ৯০ ভাগ গার্মেন্টস কারখানাকে সঠিক বলে প্রতিবেদন দিয়েছে। আমরা এখন সেভাবেই এগুচ্ছি। আশা করি আমাদের বিরুদ্ধে আনা আন্তর্জাতিক বাধাটাও আগামীতে দূর হয়ে যাবে। নতুন করে বিদেশি বায়ার আসা শুরু করেছেন। এতে আমরা অনেকটা আশাবাদি। ড. কামরুজ্জামান কায়সার, সবশেষে খুব সংক্ষেপে কি আপনি আমাদের বলবেন, কোথায় দাঁড়িয়ে আমাদের পোশাক খাত আর এর সম্ভাবনা কেমন? ড. কামরুজ্জামান কায়সার: আমাদের পোশাক খাত অপার সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছে। আমরা মনে করি আমাদের টেক্সটাইল শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মালিকপক্ষ এবং সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরণের প্রচেষ্টা রয়েছে তাকে যদি যথার্থভাবে আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে আর আমাদের আর পেছন দিকে তাকাতে হবে না। তাছাড়া, আমাদের শ্রমিক দক্ষতার বিষয়টি প্রায় ৩ দশকে গিয়ে পৌঁছেছে। অর্থাৎ আমরা একটা স্ট্যাবলিশ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমাদের শ্রমিক নিয়ে আমরা গর্ব করে থাকি। আর সবকিছু মিলিয়ে আমরা আমাদের গার্মেন্ট শিল্পের একটা ব্রান্ড ইমেজ তৈরি করতে পেরেছি। এটি আগামীতে আরো সম্প্রসারিত করতে পারব বলে আশা করছি। আরো আশার কথা হচ্ছে- আমাদের এখন নতুন নতুন মার্কেট তৈরি হচ্ছে। সৌজন্যে- রেডিও তেহরান। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২১-০৩-০১৫:
Link copied!