একুশে সংবাদ : কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে বিয়ের প্রলোভনে এক ষোড়শীর সাথে অনৈতিক মেলামেশার ফলসরূপ সন্তান প্রসবের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত অভিযোগে কথিত প্রেমিককে এলাকাবাসী আটক করলেও পরে কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শুক্রবার ভোরে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভাদিতলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগে জানা যায়, ওই এলাকার ছৈয়দ আলম মিস্ত্রীর ষোড়শী কন্যা রুবি আক্তার ঘটনার দিন ভোর রাতে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। পরিবারের সদস্যরা চাপাচাপি করলে সে সন্তানটি একই এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে মোর্শেদের সাথে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কের জেরে অবৈধ মেলামেশার ফল হিসাবে দাবী করে। তরুণীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে এ ঘটনা শুনে এলাকার লোকজন অভিযোগ উঠা মোর্শেদকে ধরে তরুণীর বাড়ীতে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে কথিত প্রেমিক কৌশলে পালিয়ে যায়। সংবাদটি দ্রুত এলাকায় প্রকাশ হয়ে পড়লে মোর্শেদের পরিবার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে, স্থানীয় মোস্তফা বেগম, সামিনা আক্তার, ছফুরা বেগম নামের ৩ মহিলা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। প্রেমিকা রুবি আক্তার জানায়, দীর্ঘ সময় পূর্বে তার সাথে মোর্শেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে সে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে কৌশলে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। রুবি গর্ভবর্তী হলে প্রেমিককে বউ হিসাবে তাকে ঘরে তোলার প্রস্তাব দিলে মোর্শেদ সবকিছু অস্বীকার করে। প্রসবকৃত সন্তানটি তাদের অবৈধ মেলামেশার ফল হিসাবে দাবী করে তরুণী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং এর সুবিচার দাবী করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হকের সাথে কথা হলে এ জাতীয় ঘটনা শুনেছেন বলে জানান। সংঘটিত ঘটনায় রুবির পিতা ছৈয়দ আলম মিস্ত্রী বাদী হয়ে মোর্শেদের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য এএসআই আতিক উল্লাহকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন বলে জানান। অভিযুক্ত মোর্শেদের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এলাকার সচেতন জনসাধারণ ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২২-০৩-০১৫: