AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজশাহীতে বিদ্যুতের আওতায় আসছে ২ লাখ গ্রাহক


Ekushey Sangbad

১১:৩৬ এএম, মার্চ ২৪, ২০১৫
রাজশাহীতে বিদ্যুতের আওতায় আসছে ২ লাখ গ্রাহক

একুশে সংবাদ : রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে সংস্কার করা হবে আরও ১ হাজার ৮০৮ কিলোমিটার বিদ্যমান লাইন। এর ফলে নতুন করে আরও ২ লাখ গ্রাহক নতুন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। এ লক্ষ্যে রাজশাহী জোন বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ৯১৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ব্যয়ের ৮৮০ কোটি টাকা আসবে সরকারের তহবিল থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ব্যয় করবে ৩৫ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কমিশন জানায়, ২০১৪ সালের শুরু থেকেই প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সব ধাপ শেষে অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে অনুমোদন পেলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কৃষি কার্যক্রমে এ এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। রাইস মিল, কোল্ড স্টোরেজ, পোলট্রি ফার্ম ও কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে। পাবনায় রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপন হয়েছে। এখানে রয়েছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কারখানা। ব্যাপক চাহিদা মেটাতে রাজশাহীতে সরকারি বেসরকারি খাতে কয়েকটি পিকিং পাওয়ার প্লান্ট, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট (আইপিপি) ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে। এসব কেন্দ্র উৎপাদনে এলে বিদ্যমান লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না। বিদ্যুতের আমদানি ও উৎপাদন মিলে বর্তমানে সরবরাহ ১০ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। এ বিদ্যুৎ বিতরণে পর্যাপ্ত অবকাঠামো প্রয়োজন। পিক আওয়ার ও অফ পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদায় তারতম্য রয়েছে। অধিক সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এলে এ পার্থক্য কমে আসবে। এ বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য এসএম গোলাম ফারুক বলেন, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে ২ লাখ গ্রাহক নতুন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল শুরু হয়েছে। প্রথম অর্থবছরে এতে ব্যয় হবে ৮৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রয়োজন হবে ২২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। ২৬৪ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। এর পরের বছর প্রয়োজন হবে ২৪১ কোটি টাকা। আর শেষ অর্থবছরে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্ভরতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ, বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান পাওয়ার সিস্টেমের গুণগতমান এবং বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত করা, আবাসিক ও শিল্প কারখানায় নতুন সংযোগ স্থাপন, সিস্টেম লস কমিয়ে সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-০৩-০১৫:
Link copied!