আসামিকে রেখে যৌনপল্লিতে পুলিশ
একুশে সংবাদ : ভারতের রাঁচির হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর খুনের এক আসামিকে নিয়ে কোডারমার জেলে ফেরার কথা ছিল ঝাড়খণ্ডের ৪ পুলিশকর্মীর। তবে মাঝরাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে গাড়ির চালকের নজরদারিতে আসামিকে রেখে তারা চলে যান আসানসোলের কুলটির এক যৌনপল্লিতে!
যৌনপল্লিতে ৪ ঝাড়খন্ড পুলিশকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
আসানসোল পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশকর্মীদের কোমরে গোঁজা পিস্তল দেখে হইচই জুড়ে দেন যৌনকর্মীরা। খবর পেয়ে আসানসোলের নিয়ামতপুর থানার পুলিশ তাদের আটক করে।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, সোজা সে থানায় চলে যায়। সব কথা জানিয়ে আসামি পুলিশকে বলে, “আমাকে জেলে নিয়ে চলুন। না হলে ফেঁসে যাব!”
আসানসোল পুলিশ জানায়, ১৯ মার্চ ভোরে গাড়িতে সন্তোষ কুমার, ধনঞ্জয় কুমার সিংহ, মদন কুমার নামের ৩ সশস্ত্র কনস্টেবল ও হাবিলদার অমানত খান কুলটির একটি যৌনপল্লিতে পৌঁছায়। সঙ্গে ছিলেন খুনের আসামি বৈজু যাদব। তাকে রাঁচি থেকে কোডারমা নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল ওই পুলিশকর্মীদের উপরে। কিন্তু মাঝপথে গাড়ি ঘুরিয়ে তারা চলে আসেন কুলটিতে। চালক ও আসামিকে গাড়িতে বসিয়ে পুলিশকর্মীরা যৌনপল্লিতে ঢোকেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ তাদের ধরে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিজেদের পরিচয় জানালে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কোডারমার এক ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার পরের দিন নিয়ামতপুরে পৌঁছে ব্যক্তিগত বন্ডে ৪ পুলিশকর্মীকে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় আসানসোলের কোনও পুলিশকর্তা মুখ খুলতে চাননি। তারা জানান, ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিজি এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কোডারমার পুলিশ সুপার ওয়াই এস রমেশ আসানসোল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের বরখাস্ত করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোডারমার এসপি জানান, বৈজুর শাস্তির মেয়াদ শেষের মুখে। সে জন্যই সে পালানোর চেষ্টা করেনি। সূত্র: হাফিংটন পোস্টও হিন্দুস্তান টাইমস
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-০৩-০১৫:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :