AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জাতীয় চার নেতার এক খুনির কানাডায় মৃত্যু


Ekushey Sangbad

০৪:৩৩ পিএম, মার্চ ২৬, ২০১৫
জাতীয় চার নেতার এক খুনির কানাডায় মৃত্যু

একুশে সংবাদ : ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) কিসমত হাসেম কানাডায়া মারা গেছেন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় কানাডার মন্ট্রিলে মারা যান তিনি - এমনটা জানিয়েছেন তার ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত হাসেম শকু । মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।শওকত হাসেম শকু জানান, কানাডার মন্ট্রিলে নিজের বাসায় হৃদরোগে মারা যান তার ভাই। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাযা শেষে তাকে মন্ট্রিলে দাফন করা হবে।পারিবারিক জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন কিসমত। কিসমতের স্ত্রীর নাম পারভীন হাসেম। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্ষমতা দখল নিয়ে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে ওই বছর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপর কেটে যায় অনেকগুলো বছর। শেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। এরপর, ২০০৪ সালের অক্টোবরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এ হত্যায় তিন সেনা কর্মকর্তা রিসালদার (অব.) মুসলেমউদ্দিন, দফাদার (বহিষ্কৃত) মারফরত আলী শাহ ও দফাদার (বহিষ্কৃত) আব্দুল হাসেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া ক্যাপ্টেন কিসমত হাসেমসহ ১২ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে হাই কোর্ট হয়ে মামলাটি আপিল বিভাগে এলে চূড়ান্ত রায়েও কিসমত হাসেমের দণ্ড বহাল থাকে। কিসমত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায়ও আসামি ছিলেন । তবে রায়ে তিনি খালাস পান। পাঁচত্তরের ৩ নভেম্বর চার নেতাকে হত্যার পর পরই দেশ ত্যাগ করেন কিসমত হাসেম। পরবর্তীতে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে গোপনে কয়েকবার দেশে আসা- যাওয়া করেন তিনি। তবে নব্বইয়ে সামরিক শাসনের অবসানের পর কিসমতকে আর দেশে দেখা যায়নি। কিসমতকে গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল। কানাডা থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও। পঁচাত্তরের শেষ দিকে জেল হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ছেড়ে যাওয়া কিসমতের বিদেশে মৃত্যু হয়েছে এমন এক দিনে যখন স্বাধীনতার ৪৪তম বার্ষিকী উদযাপন করছে বাঙালি জাতি। একুশে সংবাদ ডটকম/সেলিনা/২৬-০৩-২০১৫
Link copied!