ভারতকে মওকা না দিয়ে ফাইনালে অজিরা
একুশে সংবাদ : ''We won’t give it back''- এবারের মতো আর নিজেদের করে রাখা গেলো না বিশ্বকাপটা। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে অনৈতিকভাবে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো ধোনিরা নিজেরাই উড়ে গেলো জনসন, ফকনারের বোলিং তান্ডবে।
সিডনিতে গত বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এবারের আসরের ফাইনালে পৌঁছেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে আগামী ২৯ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলবে অসিরা।
বৃহস্পতিবার সিডনিতে দ্বিতীয় সেমিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ।
শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি অসিদের। মাত্র ১৫ রানের মাথায় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় তারা। তবে এরপর ফ্রিঞ্চকে নিয়ে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ান স্টিভেন স্মিথ।
অসিদের পক্ষে স্মিথ ৯৩ বল খেলে ১১ চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ১০৫ রান করেন। ফিঞ্চের ব্যাট থেকে আসে ৮১ রান। এছাড়া শেষ দিকে মিসেল জনসন মাত্র ১৩ বলে ২৭ রান করেন। ব্যাট হাতে অজিরা ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান করে।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট দখল করেন উমেশ যাদব।
তবে ৩২৯ রানের বড় সংগ্রহ তাড়া করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কুলাতে পারেনি ভারত।
ভারত প্রথম জুটিতে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়তে পারলেও পরে ৯১ রানেই তিন উইকেট ছিনিয়ে নেয় অজিরা।
ভারতের পক্ষে অধিনায়ক ধোনি সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। শিখর ধাওয়ান ৪৫ ও রাহানে ৪৪ রান করতে সক্ষম হন।
ব্যাট করতে নেমে ধাওয়ান, কোহলি, শর্মা ও সুরেশ রাইনা সাজ ঘরে ফিরে গেলে ভারতীয় দল বিপদে পড়ে যায়। এরপর আজিঙ্কা রাহানে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে ধোনির দল আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। ধোনি ও রাহানে ৭০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। জাদেজা ১৬ রান করে রান আউট হন। ধোনির ৬৫ রানে আউট হওয়ার পর ভারতের পরাজয় আসন্ন হতে থাকে।
এর আগে উদ্বোধনী ব্যাটিংয়ে নামেন রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান। হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ দেন শেখর ধাওয়ান। ধাওয়ান ৪০ বলে ৪৫ রান করেন। মিচেল জনসনের বলে বিরাট কোহলি হাডিনের হাতে ধরা পড়েন ১৩ বলে ১ রান করে। জনসনের বলে ৩৪ রান করে রোহিত বোল্ড হয়ে যান।
৪র্থ ওভারে হ্যাজেলউডের একটি বলে রোহিত শর্মা ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেট কিপার হ্যাডিন সেটা ধরতে ব্যর্থ হন। রোহিতের রান তখন ছিল ১১।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করে ৩২৮ রান। স্মিথের শতক ও ফিঞ্চের অর্ধশতকে অস্ট্রেলিয়া বড় সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমে হোঁচট খেলেও পরে সাবলীলভাবে এগিয়ে যায় তারা। ৪র্থ ওভারে ডেভিড ওয়ারনার, উমেশ যাদবের বলে কহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথমেই সাজঘরে ফিরে যান। ৩.১ ওভারে এ সময় ওয়ারনারের রান ছিল ১২। দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ৩৫তম ওভারে।
৩৭ ওভারের পর থেকে পরপর তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় রানের গতিটা কিছু কমে আসে। ৩৩ ওভার থেকে পাওয়ার প্লে নেয়ার পরেই অস্ট্রেলিয়া হঠাৎ জ্বলে ওঠে। স্মিথ ১০৫ রান করে উমেশ যাদবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৩৪.১ ওভারে। এরপর ম্যাক্সওয়েল খেলতে নেমে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে গিয়ে ৩৭তম ওভারে ১৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তিনি অশ্বিনের বলে আউট হন। কিন্তু এরপর আবারো আঘাত হানেন যাদব। ৩৮তম ওভারে ফিঞ্চ ৮১ রানে ক্যাচ আউট হয়ে যান। ৪২তম ওভারে মাইকেল ক্লার্ক ফিরে যান ১০ রান করে। উইকেটটি নেন মুহিত শর্মা। ৪৬.২ ওভারে ফকনার ২১ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। মারমুখি খেলতে গিয়ে ওয়াটসন ২৮ রানে সাজ ঘরে ফেরেন। ব্রাড হেডিন ৭ বলে ৭ ও মিচেল জনসন ৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩ উইকেট নেন ফকনার।
একুশে সংবাদ ডটকম/সেলিনা/২৬-০৩-২০১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :