জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলো স্বাধীনতা জাদুঘর
একুশে সংবাদ : স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘর বৃহস্পতিবার থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরা ভিড় করেছে সেখানে। জাদুঘরটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার বাস্তব নিদর্শনে আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আলোকচিত্রের মধ্যে রয়েছে মোগল আমল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সময়ের ছবি, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনের ছবি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের এবং ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের বিশাল আকৃতির দুটি ছবি। এছাড়া যে টেবিলের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন, তার অনুকৃতি (রেপ্লিকা)।
স্বাধীনতা জাদুঘরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য স্থাপত্যশৈলী। পাতালে অবস্থিত জাদুঘরটির বিশাল এলাকাজুড়ে ফাঁকা জায়গা। পুরো জায়গাজুড়েই স্থানে স্থানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সময়ের ছবি। জাদুঘরের মাঝখানে রয়েছে একটি ফোয়ারা।
৬৭ একরে বিস্তৃত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রস্থলে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ স্থাপনার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার ৬৬৯ বর্গমিটার পাকা চাতাল বা প্লাজা, এর চারপাশে রয়েছে তিনটি জলাশয়, বাঙালি জাতিসত্তার অমরতার প্রতীক 'শিখা চিরন্তনী' এবং স্বাধীনতা সংগ্রামকে ভিত্তি করে নির্মিত একটি দেয়ালচিত্র। জাদুঘরের উপরিভাগে রয়েছে ১৫৫ আসনের আধুনিক মানের মিলনায়তন। স্বাধীনতা স্তম্ভটি বস্তুত ১৫০ ফুট উঁচু একটি গ্লাস টাওয়ার। গ্লাস টাওয়ারে স্থাপিত লাইটের আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটার উঁচুতে প্রক্ষেপিত হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা জাদুঘর পরিচালিত হবে। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে গণপূর্ত বিভাগ। স্বাধীনতা এ জাদুঘরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এহসানুল হক জানান, আজকের জন্য সবার প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত। জাদুঘরটি প্রতি শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশমূল্য মাথাপিছু ১০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য ২ টাকা। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার। এছাড়া সরকারি ছুটির দিন জাদুঘরটি বন্ধ থাকবে।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৭-০৩-০১৫:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :