AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়


Ekushey Sangbad

১০:০২ এএম, মার্চ ২৭, ২০১৫
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়

একুশে সংবাদ : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসী নির্মূল করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সারা দেশে উদযাপিত হয়েছে ৪৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বৃহস্পতিবার দিনভর নানা কর্মসূচি আনন্দোৎসবে সারা দেশের মানুষ দিনটি উদযাপন করে। দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোটা দেশ মিশেছিল ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ সুরে। সূর্যোদয়ের মুহূর্তে তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয় এই দিন। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজ ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, সরকারি ভবনে আলোকসজ্জা, দেশজুড়ে মসজিদ-মন্দির-প্যাগাডোয় দেশের কল্যাণ কামনায় প্রার্থনাসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। শহীদদের স্মরণে এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, কূটনৈতিক ব্যক্তিরা, তিন বাহিনীর প্রধানরা, মুক্তিযোদ্ধা এবং পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর পর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। পরে শহীদদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সাত বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার স্মৃতিসৌধে আসেননি। তবে সকাল ৮টার দিকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান, জিয়াউর রহমান খান, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আসাদুল করীম শাহিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সেলিম রেজা হাবিব, মহানগর বিএনপির আবু সাঈদ খান খোকন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মহিলা দলের নুরে আরা সাফা, মহানগর সভাপতি সুলতানা আহমেদ, রাশেদা বেগম হীরাসহ নেতাকর্মী সমর্থকরা শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং কূটনীতিকরা স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়ার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলে হাতে লাল-সবুজ পতাকা আর রঙ-বেরঙের ফুল নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্য স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। এলডিপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায় শহীদদের প্রতি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে যাওয়ার পর আসেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে তরুণ-যুবক, ছাত্র-শিক্ষক, হাজার হাজার মানুষ ও প্রতিষ্ঠান। বিকাল পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে পদচারণা ছিল লাখো দেশপ্রেমিকের। স্মৃতিসৌধের বেদিতে একে একে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সম্মিলিত প্রাক্তন সৈনিক কল্যাণ সংস্থা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার প্রেসক্লাব, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, গণ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে রক্ষিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে তিনি শ্রদ্ধা জানান। সকাল থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ অনেক শ্রেণী-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। এছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ছায়ানট, জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় প্রেসক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা, ঢাকা মহানগরী সমিতি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সরকদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকায় সজ্জিত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। এদিকে সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী কুচকাওয়াজসহ বিভিন্ন শরীরচর্চা প্রদর্শন করে। পরে প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি স্মারক ডাকটিকিট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন। বাংলাদেশ ডাকঘর ৪৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ওই স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যের একটি উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যের ডাটা কার্ড ইস্যু করেছে। এছাড়া সারা দেশের নানা উৎসবে উদযাপিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৭-০৩-০১৫:
Link copied!