AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এসেছে নতুন প্রভাত বৈশাখীর রুদ্রতাপে, স্বাগত হে নববর্ষ ১৪২২


Ekushey Sangbad

১২:০৪ এএম, এপ্রিল ১৪, ২০১৫
এসেছে নতুন প্রভাত বৈশাখীর রুদ্রতাপে, স্বাগত হে নববর্ষ ১৪২২

একুশে সংবাদ : তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক------ বৈশাখের প্রথম প্রহরে পুরোনোকে বিদায় দিয়ে নূতনের জয়গানের সুরোধ্বনিতে এমনি আহবানে স্বাগত জানানো হয় বাংলা ঋতুর প্রথম গ্রীষ্মের প্রথম মাস ‘বৈশাখ’কে। সম্মিলিত কণ্ঠে সবাই সুরে সুর মিলিয়ে গায় ‘‘ এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”। যাপিত জীবনোর চলে যাওয়া বছরের হিসেব নিকেশ মিটিয়ে দিয়ে শুরু হয় নতুন একটি বছরের পথচলা, শুরু হয় চাওয়া পাওয়ার নতুন একটি অধ্যায়ের। বলা যায়,প্রকৃতির এ নবসাজে বাঙ্গালিয়ানা পায় বিশুদ্ধতা। আর, সুদূর অতীতকাল থেকে চলে আসা বাংলার চিরাচরিত আথসামাজিক প্রেক্ষাপটে ঐতিহ্য পায় সাথকতা। বহু আগে নববর্ষ যে অন্য সময়ে হতো তার কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। যোগেশচন্দ্র বিদ্যানিধি ফাল্গুনী পূর্ণিমার তিথিতে নববর্ষের কথা উল্লেখ করেছেন। মধ্যযুগের কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর কবিতায় অগ্রহায়ণ বন্দিত হয়েছে এই ভাষায়, ‘ধন্য অগ্রহায়ণ মাস, ধন্য অগ্রহায়ণ মাস। বিফল জনমতার, নাই যার চাষ।’ কবির অগ্রহায়ণ বন্দনার কারণ যতদূর জানা যায়, তখন অগ্রহায়ণ মাসে নববর্ষ ছিল। তবে কখন কীভাবে বৈশাখ মাসে নববর্ষ উদযাপন শুরু হলো তা জানা যায় না। কিন্তু মুকুন্দরামের সময়ে অগ্রহায়ণ মাসে যদি নববর্ষ হয়ে থাকে তাহলে ভারতচন্দ্রের সময়ে যে বৈশাখে নববর্ষ হয়ে গেছে তার প্রমাণ আছে তাঁরই কবিতায় : ‘বৈশাখে এ দেশে বড় সুখের সময়। নানা ফুল গন্ধে মন্দ গন্ধবহ হয়।’ তাছাড়া বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ এবং আলীবদ্দী খাঁ বৈশাখের প্রথম দিনে পুণ্যাহ করতেন। এ দেশের কবিদের কবিতা ও গানে নববর্ষের নানা আবহ ফুটে উঠেছে। একটা সময় ছিল যখন 'হালখাতা' উৎসবটি সব ব্যবসায়ী পালন করতেন না। এ উৎসবটি তখন পালন করা হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কর আদায় করা, যা পর্যায়ক্রমে আজ সিংহভাগ ব্যবসায়ী হালখাতা উৎসব হিসেবে পালন করেন। এক সময়ের 'আর্তব উৎসব'-এর আধুনিক রূপ 'হালখাতা' উৎসব। আধুনিক যুগ শুরু হওয়ার আগে আর্তব উৎসব পালনকারীর সময়ে ঋতুর ওপর নির্ভর করে কৃষকরা হিসাব করতেন। তখন ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর আরবি পঞ্জিকা অনুসারে বিভিন্ন কৃষিজ পণ্যের খাজনা আদায় হতো। আরবি সন চাঁদের ওপর নির্ভর করে গোনা হয়। ফলে কৃষি ফলনের সঙ্গে অমিল হওয়ায় সরকাররা কৃষকদের বাধ্য করত তাদের কথামতো খাজনা দিতে। মোগল সম্রাট আকবরের দৃষ্টিতে তা অমানবিক ও অবিচার হিসেবে মনে হয়। তিনি সুষ্ঠুভাবে খাজনা আদায়ের নিমিত্তে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন এবং প্রাচীন পঞ্জিকা সংস্কারের আদেশ দেন। তার আদেশ অনুসারে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন ও আরবি সনের ওপর ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, আনুমানিক ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর হয় সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। যার তৎকালীন নাম ফসলি সন। পরে তা বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন নামে নামকরণ হয় এবং তার সময় থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করা হতো। খাজনা, মাশুল বা শুল্ক নিতে জমির মালিকরা একটি খাতা নিতেন। যে খাতায় খাজনা, শুল্ক পরিশোধকারীদের নাম লিখে রাখা হতো। ওই খাতায় হালনাগাদ হিসাব তুলে রাখা হতো। ফলে সেই থেকেই বর্তমানের আধুনিক 'হালখাতা' নামকরণ। সে সময় বৈশাখের প্রথম দিনে জমির মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা বুঝে নিয়ে মিষ্টি মুখ করাতেন। জমির মালিকদের বাড়িতে বা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে কৃষকদের আগমন, মিষ্টি মুখ করানোসহ বিভিন্ন খাবারের আয়োজন এক উৎসবে রূপ নিত। আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি। তবে, বৈশাখ বাঙালীর জীবনে এমনি এমনি আসেনি। এদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি বারবার চেষ্টা করেছে বৈশাখের ঐতিহ্যকে রুখে দিতে, তার ইতিহাসকে ধ্বংস করতে, প্রচার করেছে "হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি" বলে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর নব উদ্ভূত শিক্ষিত নগরবাসী বাঙালি মুসলমান ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্র-কাঠামোর মধ্যেও তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও নানা গোষ্ঠীর আচার অনুষ্ঠান, ক্রিয়াকরণকে (Rituals) জাতীয় আধারে বিন্যস্ত করে নতুন এক সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে শামিল হতে প্রয়াসী হয়। কিন্তু দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পাকিস্তান রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণকারী পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক এবং পূর্ব বাংলায় তার অনুসারীরা বাঙালির সমন্বিত সংস্কৃতির উত্তরাধিকারকে অস্বীকার করেছে, একে নানা কৌশলে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।এই ধারাতেই বাধা এসেছে বাঙালির নববর্ষ উদযাপনেও। ১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলার সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগ উৎখাত হয়ে যাওয়ার পরই শুধু যুক্তফ্রন্ট সরকার ও তার মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করে বাঙালির জাতিগঠন ও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে একটি সুস্পষ্ট পথনির্দেশ দান করেন এবং সে বছর বিপুল উৎসাহে বাঙালি তার নববর্ষ উদযাপন করে। ১৯৫৮-এ আইয়ুবের সামরিক শাসন জারি হওয়ায় মুক্তবুদ্ধির চর্চা, গণমুখী সংস্কৃতির অনুশীলন একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে, বাঙালিত্বের চেতনার তীব্র চাপে ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক সরকার বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘোষণা করে। সেদিন ঢাকার বিভিন্ন নববর্ষ অনুষ্ঠানে অভূতপূর্ব জনসমাগম হয়। বাংলা একাডেমী, পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ, ছায়ানট (প্রতিষ্ঠা ১৯৬১), পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ, নিক্বণ ললিতকলা কেন্দ্র, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ, সমাজকল্যাণ কলেজ ছাত্র সংসদ, গীতিকলা সংসদ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।বাংলা একাডেমীর বটতলায় ‘ঐক্যতানের’ অনুষ্ঠানে এত দর্শক-শ্রোতার সমাগম হয় যে, ভিড়ের চাপে কয়েকজন আহত হয়। বাঙালির নববর্ষ অনুষ্ঠানে এত বিপুল মানুষের উপস্থিতি দেখে দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার বিস্ময় প্রকাশ করে।  বাংলা সংস্কৃতি যখন এগিয়ে চলছিল বাঙ্গালিয়ানার ঐতিহ্য মেনে, সে সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ওপর কালো থাবা বিস্তারে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্বপাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। পাকিস্তান সরকারের এই অন্যায় আচরণের জবাব দিতেই "ছায়ানট" ১৯৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ, বাংলা ১৩৭২ সন) রমনার বটমূলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "এসো হে বৈশাখ এসো এসো" গানটি দিয়ে সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু করে। বস্তুত এই দিনটি থেকেই "পহেলা বৈশাখ" বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম এক পরিচায়ক রূপ ধারণ করে। এরপর বাংলা নববর্ষকে জাতীয় উৎসবে রূপ দিয়ে রমনার অশ্বত্থমূলে অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করে ১৯৬৭ সালে। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ‘ছয় দফা’ আন্দোলন শুরু করার পর এই আয়োজন এক নতুন রাজনৈতিক তাৎপর্য লাভ করে। সেই থেকে বাংলা নববর্ষ সকল বাঙালির জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। বৈশাখে উৎসবের ঢল নেমে আসে যান্ত্রীক শহুরে জীবনেও। সবচেয়ে বর্ণাঢ্য বৈশাখ উদযাপন হয় ঢাকা শহরকে ঘিরে।  মেলা বসে রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক এমনকি সংসদ ভবন এলাকাতেও। বছরের প্রথম সূর্যের আলোকে বরণ করে নিতে দলে দলে লোক সমবেত হয় রমনার বটবৃক্ষের তলে। ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের তত্ত্বাবধানে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, যা সারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবণ এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে  এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ। পাঞ্জাবী পরিহিত ছেলেদের পাশে খোঁপায় বেলী ফুলের মালায় সজ্জ্বিত হয়ে, লাল পেড়ে সাদা শাড়ীর তরুণীরা মেতে ওঠে "ইলিশ-পান্তা" উৎসবে। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামাঞ্চলও কোনদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই "পহেলা বৈশাখ" উদযাপনে। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পড়ে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটমুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বাড়ি বাড়ি বিলানো হয় ঘরে তৈরী মিষ্টি, নতুন চালের পায়েস ইত্যাদি। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখি মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুঠির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির। জাতিগতভাবেই বাঙালি ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির দেশ। তাই, আমাদের বৈশাখের ঐতিহ্য, যেকোনো বাধা বিপত্তি পেরিয়ে, সহস্র প্রতিকূলতা ছাড়িয়ে, রাস্ট্রীয় অস্থিতিশীলতার মাঝেও আমাদেরকে মাতিয়ে তোলে বর্ষবরণ উদযাপনে। অজেয় বাঙালীর সামনে মাথা তুলে কোনদিনই দাঁড়াতে পারেনি কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি। পহেলা বৈশাখের আবেদনও শেষ হয়ে যায়নি শত বাঁধার মুখেও। আর সবকিছু ছাপিয়ে এ প্রজন্মের একজন বাঙালীকে বৈশাখ যা শেখায় তা হলো সংগ্রাম করার সংকল্প। বৈশাখে এসে জীবনের ধারাও বদলে যায়। ভিন্ন আংগীকে, ভিন্ন পরিবেশে এখনও গান-বাজনায় মেতে ওঠে জীবন। এ জীবনের মাঝেই বাংলাদেশের মানুষ খুঁজে পায় এক নতুন আস্বাদ, নতুন করে জীবন চলার পথের প্রেরণা আর উদ্দীপনা। তাই বাঙালি জীবনে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেয়ে পল্লী মানুষের জীবনে এ মাসে, এ ঋতুতে নেমে আসে এক নব আনন্দধারা। এ ধারায় সিঞ্চিত হয়ে মানুষ নব উদ্দমে পরের মাসগুলোর কর্মমুখর জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে-এটাই বাঙ্গালী জীবনে বৈশাখের বৈশিষ্ট্য। পুরাতনের সাথে নতুনের যে যোগাযোগ পহেলা বৈশাখ তারই যোগসূত্র। বৈশাখের ভোরের হাওয়া মনের চিরন্তন রূপের বর্ণালী ছড়াতে আরেক দিনের প্রভাত নতুনের বাণী শুনিয়ে হৃদয়ে দোলার স্পন্দন তোলে। বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠে বছর ঘুরে এলেই উচ্চারিত হয়, আসুক বৈশাখ, নতুনের বাণী শুনিয়ে তাদের হৃদয়কেও সোচ্চার করে তুলুক। তাই বাংলার মানুষ হৃদয়ের অমৃত বাণী দিয়ে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে সুরেলা কণ্ঠে বলে,  ‘‘ এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”।   একুশে সংবাদ ডটকম/সেলিনা/১৪-০৪-১৫    
Link copied!