AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিটি নির্বাচনে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে বিএনপি'র : ড. সুকোমল বড়ুয়া


Ekushey Sangbad

১২:১১ পিএম, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
সিটি নির্বাচনে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে বিএনপি'র : ড. সুকোমল বড়ুয়া

একুশে সংবাদ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুদ্ধিস্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলে বিএনপির মধ্যে একটা প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। অনেক দিন পর নেতাকর্মীরা মাঠে গিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে দেশের অরাজক পরিস্থিতি কেটে গিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে। তিনি বলেন, পরাজিত হলে বিএনপি রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে। রাজনীতিতে হারজিত থাকবেই। নির্বাচনে হেরে গেলেও আমি সহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী না। আমার মতো যারা শান্তিকামী মানুষ, আমরা বুদ্ধিভিত্তিক রাজনীতির চর্চার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার আবু রাকিব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কী ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মনে করেন? দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় দেশের বিচ্ছিন্ন কোনো জায়গা নয়। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনুসরণ করে। তাই এর অবস্থার ওপর দেশের অবস্থাও নির্ভর করে। আর তাই আমরা চেষ্টা করি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কখনও পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট না হয়। সেটা রাজনৈতিক কারণে হোক আর অন্য কোনো কারণেই হোক। ঢাবিতে ছাত্রদলের ধর্মঘটসহ ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল অবরোধ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি? আমি মনে করি আন্দোলন দু’ধরনের, সহিংস আন্দোলন ও অসহিংস আন্দোলন। পৃথিবীতে এমনও অনেক বিজয় আছে, যেটা অসহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে হয়েছে। আমি শান্তিকামী মানুষ। আন্দোলনে পক্ষ-বিপক্ষ দুটোই থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারকে নমনীয় হতে হবে আর বিএনপিকেও আরও বুদ্ধিভিত্তিক আন্দোলন করতে হবে। পাকিস্তানিরা যেমন বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল, এখনও তেমনিভাবে বুদ্ধিজীবীদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এটা দেশের জন্য খুবই অমঙ্গলজনক। এখন তো আমাদের দেশ আর পাকিস্তান নেই। তাহলে এখনও কেন আমাদের এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। বিএনপির চলমান আন্দোলন নিয়ে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নানা অভিযোগ রয়েছে এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? আসলে অনেকে অনেক কথা বলে থাকে। তবে বড় বৃক্ষে যেসব বড় বড় আম থাকবে তা কিন্তু নয়, মাঝে মাঝে গুটিও থাকে। বিএনপির মতো একটা বড় দলে এরকম হবে এটাই স্বভাবিক। প্রত্যেক দলের রাজনীতিবিদদের তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাজনীতিকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে থাকে, তবে এমনটা হবে না বলে আশা করি। যখন কোনো ব্যক্তি আদর্শচ্যুত হয়, তখনই কেবল এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বিএনপির ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে মনে করেন? এ নির্বাচনের ফলে বিএনপির মধ্যে একটা প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। অনেক দিন পর নেতাকর্মীরা মাঠে গিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে দেশের অরাজক পরিস্থিতি কেটে গিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে। নির্বাচনে বিএনপি যদি পরাজিত হলে কী হবে বলে মনে করেন? পরাজিত হলে বিএনপি রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে। রাজনীতিতে হারজিত থাকবেই। নির্বাচনে হেরে গেলেও আমি সহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী না। আমার মতো যারা শান্তিকামী মানুষ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির চর্চার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। রাজনীতির একটা ভাগ রাজপথে থাকবে, অনেক সময় তাদের ভুল হবে, আরেকটা বুদ্ধিজীবী সমাজ তাদের সেই ভুলগুলো শুধরে দিয়ে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা যে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন-সিটি নির্বাচনে পরাজিত হলে তাদের অবস্থা কি আরও ভয়াবহ হতে পারে কি-না? রাজনীতিতে কখনও কখনও অপেক্ষা করতে হয়। সবসময় যে আমার মধ্যে প্রাপ্তির আশা থাকবে, সবসময় যে আমার মধ্যে সফলতা আসবে- এটা ঠিক নয়। এজন্যই যেহেতেু একটা ভুল হয়ে গেছে মাঝে মধ্যে এরকম একটা ভুল অনেক ভুলের সৃষ্টি করে থাকে। ভুল বলতে আপনি কী বুঝাতে চেয়েছেন? আমি ভুল বলতে রাজনৈতিক ভুলের কথা বলছি। আওয়ামী লীগেরও ভুল হয়েছে, বিএনপিরও ভুল হয়েছে। সরকার বিএনপিকে রাস্তায় বের হতে দেয়নি, এটা মারাত্মক ক্ষতি করেছে। কারণ রাজনীতির মাঠে যদি কোনো রাজনৈতিক দল বের হতে না পারে তাহলে তো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। বিএনপিকেও আরও বুদ্ধিভিত্তিক আন্দোলন করা দরকার ছিল। জনগণের চিন্তা করেই রাজনীতি করতে হবে। নইলে শুধু জাতীয়ভাবে না আমরা আন্তর্জাতিকভাবেও পিছিয়ে যাবে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে বাইরের দেশের কী ধরনের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন? বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক দেশই আজ উদ্বিগ্ন। দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আছে। সরকারকে আরও নমনীয় এবং আরও অনেক সহযোগী হতে হবে। সরকারের সহযোগিতার কোনো মনোভাব আছে বলে মনে করেন কি? মনোভাব না থাকলেও সরকারকে তা হতে হবে। বর্তমান সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে কিছুটা হলেও সহযোগী মনে হচ্ছে। তবে ভেতরের সব তো আর জানা যায় না। কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর জায়গায় জায়গায় যে আনন্দ মিছিল হয়েছে-এতে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? এতটা বাড়াবাড়ি কিন্তু ভালো না। কারো মৃত্যুতে এত আনন্দ ভালো না। আমিও চাই অপরাধীর শাস্তি হবে। কিন্তু এখানে একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাও কাজ করেছে। এর ফলাফল হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে হয়তোবা তাদের তরুণ প্রজন্মের ভেতরে থাকা সুপ্ত ক্ষোভ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। সরকারের চাপে হয়তবা তারা এখন কিছু করতে পারছে না, কিন্তু এটা সত্য যে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমি শান্তিকামী মানুষ, আমি সবসময় মানবতার পক্ষে। বিশ্বের অনেক মানবাধিকার সংগঠনও ফাঁসির পক্ষে ছিল না। তবে এটাও ঠিক এদের অপরাধ যদি থেকে থাকে তবে কর্মফল অখণ্ডনীয়। আমরা বৌদ্ধরা কর্মফলে বিশ্বাসী। আমার যদি পাপ থেকে থাকে, তবে আমি যতই গোপন রাখি না কেন তা অবশ্যই প্রকাশ পাবে। সবশেষে সরকার বা বিরোধী দলের প্রতি আপনার পরামর্শ কি? আমি মনে করি বর্তমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারের সাথে বিএনপির সমঝোতা হওয়ার একটা সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম নির্বাচন মানে গোটা দেশের নির্বাচন। সরকার যদি এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে, তবে এটাকে সামনে নিয়ে হয়তবা দেশে শান্তির পথ খুলে যাবে। তাই সরকারকে এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার আহ্বান জানাই। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৭-০৪-০১৫:
Link copied!