AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সংঘাতমুক্ত নতুন পথচলা শুরু হোক ...


Ekushey Sangbad

১১:৫৫ এএম, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
সংঘাতমুক্ত নতুন পথচলা শুরু হোক ...

একুশে সংবাদ : লাগাতার হরতাল-অবরোধ, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া, সিটি নির্বাচন ইত্যাদি ইস্যুতে সঙ্কটের মুখে দেশ ও জিম্মিদশায় জাতি। কিন্তু শত সমস্যার মধ্যেও জীবন ধাবমান। সঙ্কট ও সন্ত্রাসের হিংস্র ছোবল যতই আসুক না কেন তা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। সঙ্কট থেকে বাঁচাতে হবে দেশ, অর্থনীতি ও হতদরিদ্র্য জাতিকে। দেশে বিরাজমান সঙ্কট নিরসনে নিজেদের সঙ্গে নিজেদের যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে চিরতরে। যদিও একথা সত্য, এদেশের রাজনীতিতে শুভবোধ সম্পন্ন রাজনীতিবিদদের অভাব দিন দিন তীব্র হচ্ছে। অর্থ ও ক্ষমতার কাছে দেশে উদার গণতন্ত্র, মানবতা ও রাজনৈতিক আদর্শ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। রাজনীতি আজ যেন ইজারানীতিতে পরিণত হয়েছে। দেশে গুটি কয়েক সুযোগসন্ধানী ও সুবিধাভোগীর সুবিধা আদায়ের এহেন রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর সংঘাতময় রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং ক্ষমতা দখলের অসহিষ্ণু প্রতিযোগিতার ফাঁদে পড়ে দেশের সাধারণ জনগণের অবস্থা যে নাকানিচুবানি এবং অনিশ্চয়তার খাদের কিনারে দোদুল্যমান তা দ্রুত অবসান করতে হবে। যদিও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাড়িভাড়া বৃদ্ধি, শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য, ব্যবসা-বাণিজ্যে নাজুক দশা, দুর্নীতি, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মানবাধিকারবহির্ভূর্ত নানা কর্মকান্ড, জননিরাপত্তাহীনতা, গুম, খুন, শিল্পে মন্দাভাবসহ সঙ্কুচিত আয়ের উৎসে যে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এর আশু সমাধান করতে সরকারসহ সব রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক আস্থাহীনতা, ক্ষমতা দখলের বেপরোয়া সংঘাত, অবরোধ ও হরতালের মতো ব্যর্থ কর্মকান্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশের সার্বিক অর্থনীতি যে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে অন্তত এ ভাবনাটুকু প্রতিটি রাজনীতিবিদের চিত্তে নাড়া দিতে হবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যদিও একথা চরম সত্য, রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি আদর্শে বিভাজিত জনগণ যার যার জায়গা থেকে নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন দিচ্ছে। পাশাপাশি ওই সঙ্কটকে তাদের নিজস্ব চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণার দিক থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করছে। তারপরও এদেশের শান্তিকামী প্রতিটি মানুষ চাচ্ছে সংঘাতবিহীন রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক জিম্মিদশা থেকে স্থায়ী মুক্তি। জনগণের এ প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দল অধিক সচেষ্ট হবে-এমনটি নতুন বছরের শুরুতে আমাদের প্রত্যাশা। শুধু নিজেদের ব্যক্তিগত ও সুবিধাভোগীদের স্বার্থে দেশকে নিয়ে টানাহেঁচড়া, রাজনৈতিক মিথ্যাচার ও কাদা ছোড়াছুড়ি চিরতরে বন্ধ করে বিরাজমান সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা মনে করি, সরকারি-বিরোধী দলের নেতাদের সদিচ্ছাই পারে দেশের গণতন্ত্রকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে এবং দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি রোধ করে জাতিকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে। কেননা এদেশের জনগণ আস্থাহীন রাজনীতির হিংস্রদশা আর দেখতে চায় না। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা আনতে পারে তবে যে কোনো সঙ্কট মোকাবিলা করা সম্ভব। অন্যথায় দেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট আরও অধিক ঘনীভূত হবে, যা এদেশকে আরও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবে-যা কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। দেশের গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে চাইলে আগামী নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা যায় সব রাজনৈতিক দলকে সেই ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জনগণের সন্তুষ্টি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কোন কোন বিষয়কে অধিক গুরুত্বে আনা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলোর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে আগামী নির্বাচন কী পদ্ধতিতে হবে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সমঝোতায় আসতে হবে। তবেই সব দলের উপস্থিতিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারবে। কেননা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দেশের সার্বিক অগ্রগতির পথে বিরাট অন্তরায়, সেই ভাবনা বোধটুকু জাগ্রত করতে হবে। এক্ষেত্রে কমিশনের কর্মকর্তাদের দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত করে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আরও অধিক স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বলার এমন হীন কালিমা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সব দলের আস্থা অর্জন করতে হবে। যদিও এদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ ও যুবসমাজকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা, তারাই এগিয়ে আসবে সঙ্কট নিরসনে। কেননা এদেশের সার্বিক উন্নয়ন আগামী দিনের তরুণদের হাতেই। তাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের এ তরুণ সমাজকে সব ধরনের অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত রেখে সার্বিক উন্নয়নে তাদের জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা, সততা, অভিজ্ঞতা ও দেশপ্রেম দিয়ে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। অতীতের সব ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে দেশ ও দেশের অসহায় মানুষকে বাঁচাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলা নতুন বছরের শুরুতে এমনটিই আমাদের সবার প্রত্যাশা। 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' এ বাণীকে বুকে ধারণ করে আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। নতুন বছরের শুরুতে এটিই হোক সবার ব্রত। দূর হোক সব অন্ধকার, আগামী দিনগুলো হোক দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর ও শান্তিময়। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮-০৪-০১৫:
Link copied!