শৈশবেই ওরা কর্মজীবী
একুশে সংবাদ : যে বয়সে স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে হই-হুল্লোড় করার কথা, বই নিয়ে স্কুলে ছুটে যাওয়ার কথা আর সেই সময়ে ওদের সময় কাটে শ্রম বেচে টাকা উপার্জন করে।
কেউ দিন হাজিরাই কাজ করছে। আবার কেউ কোনো কিছু না বুঝে অন্যের কাছে হাত পেতে অর্থ উপার্জন করছে। সেই অর্থ তুলে দিতে হচ্ছে অবিভাবকদের হাতে। তবে এরা স্কুলে যাবার ইচ্ছেও পোষণ করে।
শুক্রবার রাতে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে কথা হলে তারা বিভিন্ন ইচ্ছে প্রকাশ করে।
ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার জিহাদ জানায়, তার বাবার নাম ডাবলু। তাদের কোনো জায়গা জমি নেই। বাবাও অসুস্থ। আয় করার মতো সংসারে তেমন কেউ নেই। তাই দিন হাজিরাই কাজ করতে হচ্ছে। যেদিন কাজে আসে সেদিন টাকা পায়। যেদিন আসে না সেদিন পায় না। স্কুলে যাবার ইচ্ছে আছে। কিন্তু সংসারের আয়ের কথা ভেবে স্কুলে যাওয়া হয় না।
শহরের হাট খোলার রুমান জানায়, তার বাবা রুবেল হোসেন পেশায় চালক। তাদের কোনো খোঁজ-খবর রাখে না। তাই খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য এভাবে নানা জিনিসপত্র বিক্রি করি। যা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে। বাবা খোঁজ-খবর নিলে সংসার হয়তো চলতো। স্কুলে যাবার সুযোগ হতো।
ছোট শিশু নিসা জানান, তার মা ডালিয়া এখানে রেখে গেছে। লোকজনের কাছে টাকা চাচ্ছি। তারা টাকা দিচ্ছে। এই টাকা সে তার মায়ের কাছে দিবে বলে জানায়। এই টাকা দিয়ে কী হবে সে জানে না। তবে জানায় মিষ্টি খাবো। আর মায়ের কাছে এই টাকা দেবে। তবে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য খোঁজ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সমাজের বিত্তবাদনের এসব অবহেলিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান সমাজের সব মানুষের।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮-০৪-০১৫:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :