AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চরম দুর্দিনে চিরিরবন্দরের মৃৎশিল্পীরা


Ekushey Sangbad

০২:৪৬ পিএম, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
চরম দুর্দিনে চিরিরবন্দরের মৃৎশিল্পীরা

একুশে সংবাদ : প্রয়োজনীয় পুঁজি, কাঙ্খিত বাজারদর, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আর কাঁচামালের অভাবে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের মৃৎশিল্পীরা চরম দুর্দিন পার করছেন। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই বাপ-দাদার এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন। জানা গেছে, এক সময় চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের রানীরবন্দর হাট সংলগ্ন নশরতপুর পাল পাড়ার প্রায় ৪০টি পরিবার মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে প্রায় ১৩ থেকে ১৫টি পরিবার কোনোরকমে এ পেশা আঁকড়ে ধরে আছে। বর্তমানে অ্যালুমোনিয়াম ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের সাথে প্রতিযোগিতায় মাটির তৈরি তৈজসপত্র টিকতে পারছে না। চিরিরবন্দরের নশরতপুর পাল সম্প্রদায়ের বিরাট একটি অংশ মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত। তারা এলাকায় কুমার বা পাল নামে পরিচিত। অভাব অনটনের মধ্যেও হাতেগোনা কয়েকজন বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে আছে। তাদের অবস্থা অনেকেরই শোচনীয়। এসব কুমারের মধ্যে অনেকেই ভূমিহীন। মৃৎশিল্পী অনেকেই অভিযোগ করেন, কেউ তাদের খোঁজ-খবর নেয় না, কেউ জানতে চায় না তাদের সুখ-দুঃখের খবর। ওই গ্রামের সারদি পাল (৬৫) জানান, হাঁড়ি-পাতিল ও অন্য সব জিনিস পত্র তৈরি করতে কাঁচামাল এঁটেল মাটি আমাদের গ্রামের পার্শ্ব দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদী থেকে সংগ্রহ করা যেত। বর্তমানে নদী ভরাট ও ভূমি দস্যুদের কারণে ইছামতি নদী থেকে আর মাটি তোলা হয় না। তাই পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে পয়সার বিনিময়ে মাটি কিনে আবার ভ্যানযোগে আনতে হয়। হাঁড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মাটির সামগ্রী তৈরি করে রোদে শুকিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে ব্যবহারযোগ্য করে সেগুলো চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি করা হয়। জ্বালানি খড়ির দাম বেশি হওয়ায় ভাটা পুড়ে মাল বিক্রি করে নামমাত্র লাভ হয়। এ লাভ দিয়ে সংসার চলে না। বাপ-দাদার পুরোনো পেশার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশা ধরে আছি। কথা হয় অনিল পাল, সুদেব পাল, মহাদেব পালসহ অনেকের সাথে। তারা জানায়, কাঁচা মাল ও পুঁজির অভাব এবং প্রতিয়োগিতায় টিকতে না পারায় বর্তমানে আমাদের দুর্দিন। কুমারদের দাবি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিণের ব্যবস্থা করলে মৃৎশিল্পকে পুনর্জ্জীবিত করা সম্ভব। তাহলেই পাল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পেশা রক্ষা হবে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-০৪-০১৫:
Link copied!