AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাচু পিচু’ এক রহস্যময় নগরী


Ekushey Sangbad

১২:১৯ পিএম, এপ্রিল ২১, ২০১৫
মাচু পিচু’ এক রহস্যময় নগরী

একুশেসংবাদ : পেরুর রহস্যময় ধ্বংসাবশ মাচু পিচুতে আপনাকে স্বাগতম। এখন আপনি জানতে যাচ্ছেন এই গ্রহের সবচেয়ে কুচুটে ও রহস্যময় গন্তব্যস্থল সম্পর্কে। তবে আর অপেক্ষা কিসের? চলুন জেনে নেই মাচু পিচু সম্পর্কেসমুদ্রতল থেকে প্রায় ৭০০০ ফুট উপরে আন্দেস পর্বতশ্রেণীর মধ্যে একটি ছোট পাহাড়ের চূড়া উপর এই শহর অবস্থিত। এ অঞ্চলেই উপকথার প্রথম সাপা ইনকা মাংকো কাপাক ১২০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে কোস্কো রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে মাংকো কাপাকের উত্তরসূরীদের অধীনে আন্দেস পর্বতমালার অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীগুলোকে নিজেদের মধ্যে নিয়ে এসে এ রাজ্যটি বিস্তার লাভ করে। ১৪৪২ সালের মধ্যেই রাজা পাচকুতিকের অধীনে ইনকারা তাদের সাম্রাজ্য দূরদুরান্তে বিস্তৃত করে, পাচকুতিক নামের অর্থই হচ্ছে, ‘পৃথিবী কাঁপানো মানুষ’। তিনিই ইনকা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের আগে দুই আমেরিকা মহাদেশের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য ছিল।ইনকা সাম্রাজ্য প্রে-কলাম্বিয়ান আমেরিকাতে বৃহত্তম সাম্রাজ্য ছিল। এই সাম্রাজ্যের প্রাশাসনিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক কেন্দ্র ছিল কোস্কো শহর। পেরুর পাহাড়ি এলাকায় ১৩০০ শতকের দিকে ইনকা সভ্যতার সূচনা হয়। শহরটিতে ১৪০ টি স্থাপনার মধ্যে রয়েছে কিছু মন্দির, পবিত্র স্থান, উদ্যান এবং আবাসিক ভবনসমূহ (আবাসিক ভবনগুলো খড়ের ছাউনি দেয়া ছিল)। মাচু পিচুতে রয়েছে ১০০টিরও বেশি সিড়ি যার মধ্যে কিছু কিছু একটি মাত্র গ্রানাইট পাথরের খণ্ড কুদে তৈরি করা হয়েছে। এখানে আরও রয়েছে প্রচুর সংখ্যক ঝরনা, যেগুলো পাথর কেটে তৈরি করা ছোট ছোট খালের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত এবং এসব মূলতঃ সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, এই সেচ ব্যবস্থা ব্যবহার করে একটি পবিত্র ঝরনা থেকে পানি প্রতিটি বাড়িতে সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এটি ১৪৫০ সালের দিকে নির্মিত হয়, কিন্তু এর এক শ বছর পর ইনকা সভ্যতা যখন স্পেন দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। কয়েক শ বছর অজ্ঞাত থাকার পর ১৯১১ সালে হাইরাম বিঙাম (Hiram Bingham) নামে এক মার্কিন ঐতিহাসিক এটিকে আবার সমগ্র বিশ্বের নজরে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে মাচু পিচু পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণী দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এটিকে ১৯৮১ সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে এটিকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এটি বর্তমান বিশ্বের সাতটি নতুন বিস্ময়েরও একটি। পেরুর পর্যটন রাজস্বের শতকরা ৯০ ভাগ আসে কুসকো অঞ্চল থেকে৷ প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধস মাচু পিচুর রেল যোগাযোগ ধ্বংস করে দিয়েছিল ফলে মাচু পিচু দু’ মাস বন্ধ থাকায় পেরু প্রায় ৬০ হাজার পর্যটক হারিয়েছে৷ কুসকো অঞ্চলের প্রায় ১৭৫,০০০ মানুষ জীবন ধারণের জন্য পরোক্ষ এখানকার পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল৷ একুশেসংবাদ.কম/এইচকেএস/২১.০৪.১৫
Link copied!