নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতের প্রয়াত আমির গোলাম আযমের স্ত্রী আফিফা আযম, তার ভাতিজা ও ছেলের বউকে শাহজালাল বিমান বন্দরে বিশেষ ব্যক্তির মর্যাদা (ভিআইপি) কেন দেয়া হলো তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট । একই সঙ্গে এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।   একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি হাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে বুধবার এ আদেশ দেন।   আগামী ১৫ দিনে মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, উত্তরা জোন পুলিশের ডিসি, বিমানবন্দর থানার ওসি, শাহজালাল বিমান বন্দরের পরিচালন গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন ও দেলেনা বেগমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।   প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছিল, ‘গত ৮ এপ্রিল সৌদি আরব যাওয়ার সময় গোলাম আযমের স্ত্রী ও তার সঙ্গে থাকা গোলাম আযমের ভাতিজা লুৎফুল কবির, পুত্রবধূ তাসনীম আঞ্জুম বিমান বন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে ইমিগ্রেশন করানোর সময় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ফেরৎ পাঠানো হয়। গোয়েন্দারা যখন নিশ্চিত হন বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন তাদের পরিচয় গোপন রেখে ভিআইপি মর্যাদার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি জানতে চেয়ে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।   রিপোর্টে আরো বলা হয়, গোলাম আযমের স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগম ছিলেন। দেলেনা বেগম ভিআইপি মর্যাদা পান, তার সঙ্গে গোলাম আযমের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনেরা ভিতরে প্রবেশ করেন।   একুশেসংবাদ.কম/এইচকেএস/২২.০৪.১৫।