প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে ক্ষমতার দাপট খাঁটিয়ে বারাশিয়া চন্দনা নদীর মাটি অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় বিক্রয় করছে কামরুল ভুইয়া
কে. এম. রুবেল, ফরিদপুর : বর্তমান সরকার কৃষি ও বনায়নকে উন্নত করার লক্ষ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যায় গত ২০১০/১১ অর্থ বছরে বারাশিয়া-চন্দনা নদী পূর্ন খননের কাজ শুর করে। গত ২০১৪ অর্থ বছরে জুন মাসে মাটি খননের কাজটি শেষ হয়। নদী পূর্ন খননের জন্য চৈত্র সকল মৌসুমে পানি থাকে। নদীতে পানি থাকার জন্য কৃষক ও জন সাধারন কৃষি সেচ সহ সকল সুফল ভোগ করছে। আর এই সুযোগে কিছু স্বার্থ্য নেশি কুচক্র মহল ক্ষমতাশিন রাজনৈতি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে শ্রমীক দিয়ে ট্রাকে যোগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার এ জেড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শত গজ দুরে অপর পাশে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সিমানা শেখপুর গ্রাম সংলগ্ন থেকে বারাশিয়া-চন্দনা নদীর ভিতরে লিড পয়েন্ট থেকে প্রায় দুই হাজার গজের ভিতর থেকে মাটি চুরি করে বিক্রয় করে দিচ্ছে ‘শফি ব্রিকস ফ্রিল্ড’ ইট ভাটায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলফাডাঙ্গা এ জেড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শত গজ দুরে অপর পাশে বোয়ালমারী উপজেলার শেখপুর গ্রাম সংলগ্ন থেকে বারাশিয়া-চন্দনা নদীর ভিতরে লিড পয়েন্ট থেকে কোদাল,ঝুড়ি ও শ্রমীক দিয়ে বোয়ালমারী উপজেলা শেখর ইউনিয়নের সেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি ও আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক মো. কামরুল ভুইয়া রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে অবৈধ ভাবে চুরি করে মাটি কেটে ট্রাক ভরে নিয়ে বিক্রয় করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। এতে কামরুল ভুইয়া মাটি বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। সে শেখপুর গ্রামের মৃতঃ আব্দুল হক ভুইয়ার ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের এক ব্যাক্তি বলেন, কামরুল ভুইয়া থানার দালালি সহ অনেক অপকর্মের হুতা। তার ক্ষমতার দাপটে এলাকার নিরীহ মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলেনা। সরেজমিনে সাংবাদিকরা অবৈধ মাটি কাটার ছবি তুলতে গেলে কামরুল ভুইয়া তার দলবল নিয়ে সাংবাদিকদের অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ করে বলে, এই সংবাদ যে লেখবে তার হাত কেটে ফেলা হবে বলে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি তবিবুর রহমান মিন্টু বলেন, আমাদের সংগঠনের নিয়মের বাইরে কোন কাজ করার নিয়ম নেই। আমি নিজে অনিয়ম করি না এবং কাউকে করতে বলি না।
বোয়লমারী উপজেলা পানি উন্নায়ন বোর্ড (পাইবো)এর উপ-সহকারী শাখা কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, আমরা নদী থেকে মাটি কাটার কোন অনুমতি দেই নাই। আমি খোজ নিয়ে বিষয়টি তরিদ গতিতে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নেওয়া যাবে না। আমি বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে আইন গত ব্যাবস্থা নেব।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :