ইয়ানুর রহমান : বেনাপোল কাষ্টমসে দূর্নীতি প্রতিরোধে শুল্ক কর্তৃপক্ষ তাদের সকল স্থাপনায় গোপন ক্যামেরা বসিয়েছে। ফলে কাষ্টমস হাউসের সকল কর্মকান্ড কমিশনারের নজরদারীতে থাকবে। বেনাপোল কাষ্টমস হাউসের কমিশনার সকল অনিয়ম বন্ধ করার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যোগদানের পর পরই বেনাপোল চেকপোষ্টে ১৬ টি ডিজিটাল ক্যামেরা স্থাপন করেন। এর ফলে  দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট ভবনটি হলো সুরক্ষিত। বহিরাগত এবং দালালমুক্ত পরিবেশে যাত্রী সাধারণ নির্বিগ্নে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করতে পারছেন। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগে আমদানীকৃত পন্য শুল্ক ফাঁকি রোধে যশোর বেনাপোল সড়কে কাষ্টম হাউসের সম্মূখে স্থাপিত বাঁশকলও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে নিজ কক্ষে বসে স্থলবন্দরের পন্যাগার থেকে বের হওয়া সব পন্যবাহী ট্রাকের গতিবিধি তিনি সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করতে পারছেন। কমিশনার আব্দুল্লাহ এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাঁশকল অতিক্রম করে বিনা শুল্কের কোন গাড়ি আর পার করা যাবে না। কোন শুল্ক কর্মকর্তা কিংবা সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অনৈতিক কোন খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ইতো মধ্যে শুল্কায়নের সকল গ্র“পও সি সি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। যা কমিশনার নিজ কক্ষে বসে তা পর্যবেক্ষন করছেন। কমিশনারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।