AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যক সম্পর্ক বাড়াবে বাংলাদেশ


Ekushey Sangbad

০৮:৫০ পিএম, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যক সম্পর্ক বাড়াবে বাংলাদেশ

একুশে সংবাদঃ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইন্দোনেশিয়র রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো। দুই নেতা বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) আফ্রো-এশীয় সম্মেলনের সাইডলাইনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে যৌথ বাণিজ্য ঘোষণার বিষয়েও সম্মত হন। পরে দুই দেশের কর্মকর্তা পর্যায়ে ওই ঘোষণা স্বাক্ষরিত হয়।
কয়লা, বিদ্যুৎ, তৈরি পোশাক খাত, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, কৃষি ও কৃষিজত পণ্য উৎপাদন, পর্যটন, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জ্বালানি, বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সমুদ্র সীমা এবং নৌপরিবহন ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় এতে গুরুত্ব পায়। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ সম্মেলনের চতুর্থ প্লেনারি সেশনে কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পরপরই দ্বিপাক্ষিক বেশ কয়কটি বৈঠক করেন তিনি। দিনের প্রথম বৈঠকটি হয় ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী ড. রামি হামদাল্লাহর সঙ্গে। এরপর প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে। এছাড়াও তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠকগুলো নিয়ে পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী। তারা জানান, সবগুলো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকই অত্যন্ত আন্তরিকতার পরিবেশে সুসম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশে নিমন্ত্রণ জানান। তিনি এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। পররাষ্ট্র সচিব জানান, দুই নেতাই সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান ব্যক্ত করে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের ১২৯টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চান। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন জোকো উইদোদো। শেখ হাসিনা এসময় বলেন, এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার। ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী এবং বিশাল বাজার রয়েছে তাতে এই সহযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলেও মত দেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ২০১৯-২০ মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যপদ নির্বাচনে তার দেশের পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন চান। দুই দেশ থেকেই জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী যাচ্ছে সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে দক্ষতা উন্নয়নে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দোনেশিয়া সফরের তৃতীয় ও শেষ দিনটি ব্যস্ততার মধ্যেই পার করেন। সকালে যোগ দেন মূল সম্মেলনে। বালাই সিদাং জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশন পরিচালনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কো-চেয়ার হিসেবে ছিলেন মিশরের প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম মেহলাব। এতে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, বাহরাইন, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া ও লিবিয়ার সহ কয়েকটি রাষ্ট্রের সরকার-রাষ্ট্রপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই অধিবেশনে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব একেএম শামীম চৌধুরী ও ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাওনাইন। এর ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন ভেন্যুতে ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক, বিভিন্ন কারুশিল্প ও সরঞ্জামের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। আফ্রো-এশীয় সম্মেলনে মোট আটটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার আফ্রো-এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনে তিনি পাঁচটি দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরমধ্যে ছিলেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবে, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেন লুং, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি থেইন সেন ও কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমদ বিন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। এছাড়া বুধবার শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান। তিন দিনের সফর সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় দেশের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সুকর্ন হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত থাকবেন ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাওনাইন ও ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিরানতা আতমাদজা। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৮৭ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
Link copied!