বগুড়ায় ক্লিনিকসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ বগুড়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ক্লিনিকে কর্মরত টেকনিশিয়ানসহ পৃথক ৩ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. তায়েব উর রহমান আশিক। বগুড়া জেলা প্রশাসনের জুডিশিয়াল পেস্কার আব্দুল জলিল এবং পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক (সেনেটারি ইন্সপেক্টর) মো: শাহ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শাহ আলী জানান, গোপন ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের রাজাবাজার এলাকায় সৌরভ স্টোর ও নওশাদ স্টোরে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ব্লাক, মুন, মাইটি, মার্লবোরোসহ ৭ ধরণের অনুমোদনহীন ৫ হাজার ৪০০ প্যাকেট বিদেশি সিগারেট ও ৫ হাজার বোতল নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিংকস উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। পরে দোকান মালিক সৌরভ এবং নওশাদকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে জব্দকৃত প্রায় ৫ লাখ মূল্যমানের মালামালগুলো ধ্বংস করারও নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে আব্দুল জলিল জানান, র্যাব-১২ বগুড়া কার্যালয়ের সদস্যদের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের জলেশ্বরীতলাস্থ একতা জেনারেল হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে ক্লিনিকের ল্যাবে কর্মরত টেকনিশিয়ান তার যোগ্যতার কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদ- ও অনাদায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দ-প্রাপ্ত টেকনিশিয়ান জামাল উদ্দিন বাবু শহরের লতিফপুর দক্ষিণ পাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে।লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন অপারেশন থিয়েটার, অস্বাস্থ্যকর (ড্যামেজ) কক্ষে ঔষধ রাখার অভিযোগ স্বীকার করায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ভোক্তা অধিকার আইনের পৃথক ৩টি ধারায় মোট ৯ মাসের সশ্রম কারাদ- অনাদায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করারও নির্দেশ দেন আদালত।আদেশের পর জামাল উদ্দিন বাবু নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শহরের জলেশ্বরীতলা (পিটিআই মোড়ের পেছনে) এলাকার সাবিনা ইয়াসমিন ও স্বামী আনোয়ার হোসেন নগদ ২ লাখ প্রদানে কারাদ- মওকুফ পান। অভিযানকালে জেলা প্রশাসনের জুডিশিয়াল পেস্কার আব্দুল জলিল এবং পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক (সেনেটারি ইন্সপেক্টর) মো: শাহ আলী ছাড়াও র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার লে. কমান্ডার আলী হায়দার চৌধুরী, এএসপি মশিউর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা: সরকারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :