AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সরকারের বাধার মুখে রানা প্লাজা মামলা


Ekushey Sangbad

১১:৩৫ এএম, এপ্রিল ২৪, ২০১৫
সরকারের বাধার মুখে রানা প্লাজা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ভবন মালিক, কারখানা মালিক, কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও অবহেলাই দায়ী। এ ঘটনায় করা তিনটি মামলার প্রাথমিক তদন্তেই এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।   তদন্তে মালিকপক্ষের ১৭জন, ভবনের মালিক সোহেল রানা, সাভারের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন), পৌর মেয়র, পৌর প্রকৌশলী, রাজউক কর্মকর্তাসহ অন্তত ৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। এক বছর আগে অভিযুক্তদের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে সিআইডি। কিন্তু গত দুই বছরেও আলোর মুখ দেখছে না সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন।   সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তবে ওই কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করার অনুমোদন মেলেনি গত এক বছরেও। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।   ভুক্তভোগী ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, ভবন মালিক সোহেল রানা, পৌর মেয়রসহ সরকারি প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের রক্ষা করতেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে টালবাহানা করা হচ্ছে। নির্ধারিত তারিখে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করে তদন্ত কর্মকর্তা বারবার সময় আবেদন করছেন। গত এক বছরের আট দফায় সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিজয় কৃষ্ণ কর। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামি ২১ মে নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত।   সিআইডির প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশিনাল আইজি) শেখ হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘তিনটি মামলারই তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও সতর্কতার সঙ্গে তদন্তকাজ করা হয়েছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দেয়া হতে পারে।’   জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৮ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় দুই ৪৫৮জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেক শ্রমিক। এখনো ধ্বংসস্তূপের কাছে মিলছে মানুষের হাড়গোড়। ভয়াবহ এই ভবন ধ্বসের ঘটনায় একে একে পাঁচটি মামলা হয়। ওই বছরের ২৫ এপ্রিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইনের ১২ ধারায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি মামলা করেন।   একই দিন সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ বাদি হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে একই থানায় রানাসহ ২১জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। রানা প্লাজা ধসকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪/৫০৬ ধারায় ঢাকা মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে আরেকটি মামলা করেন পোশাকশ্রমিক জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শিউলি আক্তার। আদালত তিনটি মামলার তদন্ত করতে সিআইডিকে আদেশ দেন। এ ছাড়া ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহিন শাহ পারভেজ ধামরাই থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে দু’টি মামলা করেছিলেন। এ দু’টি মামলায় ভবন মালিক রানাসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।   সূত্র জানায়, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর অভিযুক্ত ভবন মালিক রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক, সাভার পৌরসভার মেয়র রেফাত উল্লাহ, স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী এবং প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও উপসহকারী প্রকৌশলী রকিবুল হাসানসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র, কাউন্সিলর ও দুই প্রকৌশলী এবং রানার বাবাসহ আটজন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। চার মালিকসহ বাকিরা এখনো জেল হাজতে। তবে কারখানার এক বিদেশি মালিকসহ অন্তত ২০জন গ্রেপ্তার এড়িয়ে আছেন। যারা সবাই অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে সনাক্ত হতে যাচ্ছেন। তবে এসব আসামি প্রকাশ্যে ঘুরলেও গ্রেপ্তারে কোনো উদ্যোগ নেই পুলিশের।   একুশেসংবাদ.কম/এইচ কে এস/২৪.০৪.১৫।
Link copied!