AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আজ ঐতিহাসিক সলঙ্গা গণহত্যা দিবস


Ekushey Sangbad

০৫:০১ পিএম, এপ্রিল ২৪, ২০১৫
আজ ঐতিহাসিক সলঙ্গা গণহত্যা দিবস

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আজ ২৫ এপ্রিল ঐতিহাসিক সলঙ্গা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ৭টি গ্রামে নৃশংস গণহত্যা চালায় পাকবাহিনী। চড়িয়া  মধ্যপাড়া, পাটধারী, কালিবাড়ী, মগড়াপাড়া, চড়িয়া দক্ষিণপাড়া, গোলকপুর ও কাচিয়া গ্রামে চলে এ হত্যাযজ্ঞ। পাকসেনাদের ব্রাশ ফায়ারে প্রায় ২ শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন। এদের মধ্যে ৩৫জনকে চড়িয়া মধ্যপাড়া পুকুরপাড় ও পাটধারী অন্ধ পুকুরপাড়ে গণকবর দেয়া হয়েছে। প্রতিবছর দিবসটি পালন উপলক্ষে স্থানীয় শহীদ স্মৃতি পরিষদ কর্মসুচী গ্রহন করলেও এবার কোন কর্মসুচী গ্রহন করা হয়নি। জানা যায়,ঐদিন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একটি দল সৈয়দপুর হতে ঢাকা যাওয়ার সময় বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের হাটিকুমরুল এলাকায় ব্যারিকেড পেয়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তখন গ্রামের নিরীহ মানুষ ঘুমিয়ে ছিল। পাক সেনারা ভোর থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত নিরীহ গ্রামবাসী উপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। ভস্মীভূত করে দেয় এলাকার ঘরবাড়ী। তাদের হাত থেকে কোলের শিশু পর্যন্ত রেহাই পায়নি। ওই দিন সকালে পাকসেনারা ৩৬ জনকে ধরে এনে চড়িয়া মধ্যপাড়ার আব্দুল মজিদ ও ইয়ার আলীর পুকুরের পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। ভাগ্যের জোরে কাঙ্গাল নামে একজন তিনটি গুলি খেয়েও বেঁচে যান। এ গণহত্যা প্রায় ২শ জন নিরীহ মানুষ মারা যায়। এদের মধ্যে ৬৩ জনের পরিচয় পাওয়া যায়। এরা হলেন-চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ডাঃ শাজাহান আলী, ইয়াকুব হোসেন, খলিলুর রহমান, হায়দার আলী, বাহাজ আলী, মেছের আলী, আবু বক্কার, মাহাম আলী, আজিজুল হক, আদম আলী, ইউসুফ আলী, গগন মন্ডল, ছলিম উদ্দিন, ছানোয়ার হোসেন. আবেদ আলী, আবু তাহের, আব্দুল মজিদ, দারোগ আলী, আবু তাঁরা, আব্দুস ছামাদ মাষ্টার, মজিবর রহমান, আসান আলী, শাহজাহান মন্ডল, কাইয়ুম, আব্দুল কাফি, আহসানউল্লা, তোসছের আলী, আব্দুল মজিদ, আবু তালেব, কালু মিয়া, ফজলুর রহমান ফজল, কালিবাড়ী চড়িয়া গ্রামের সুজাবত আলী, হাবিবর রহমান, আব্দুর রহমান, ছোরহাব আলী, আজগর আলী, গুটু সরকার, মকুল সরকার, গোলকপুর গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিক, আব্বাস আলী মৃধা, কদম আলী, পাটধারী গ্রামের গোলাম হোসেন খোন্দকার, আকদুর আলী খোন্দকার, আব্দুর রাজ্জাক খোন্দকার, আলতাফ হোসেন খোন্দকার, জয়নুল আবেদীন খোন্দকার, ময়দান ফকির, আমজাদ হোসেন তালুকদার, বাসু প্রামানিক, আব্দুস ছামাদ আকন্দ, আব্দুর রশিদ আকন্দ, মোজদার আকন্দ, তাজু আকন্দ, মাহাতাব তালুকদার, খয়রুজ্জামান তালুকদার, আব্দুর কাদের তালুকদার, জোনাব মন্ডল, মুকুল চৌধুরী, ফনি মীর, ননী মীর, তোমেজ খোন্দকার ও নুরু মিস্ত্র । এছাড়াও ঐদিন পাটধারী গ্রামের ২৯ জন, কালীবাড়ী গ্রামের ১৩ জন, শিকার মগপাড়া গ্রামের ৮জন, চড়িয়াশিকা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের ১০ জন, গোলকপুর গ্রামের ৫ জন, কাচিয়ার গ্রামের ১জনসহ নাম না জানা অনেককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শহীদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি প্রভাষক আব্দুল হাকিম জানান, প্রতিবছর দিবসটি উপলক্ষে কর্মসুচীর আয়োজন করা হলেও এবার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে দুএকদিন পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
Link copied!