AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

টেকনাফের সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ


Ekushey Sangbad

১২:৩৮ পিএম, মে ৫, ২০১৫
টেকনাফের সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ

একুশেসংবাদ : বাংলাদেশের মানচিত্রের সর্ব দক্ষিণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা। এখানকার সমুদ্র সৈকত দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর সৈকতগুলোর একটি। তবে পর্যটকদের কাছে এই সৈকত এখনও খুব বেশি জনপ্রিয় নয়। তাই বেশিরভাগ সময় সৈকতে মানুষের আনাগোনাও খুব বেশি থাকে না। এছাড়া দেশের অন্যান্য সৈকতগুলো থেকে একেবারেই আলাদা এ সৈকত। এত রঙিন বাহারি জেলে নৌকা বাংলাদেশের আর কোনো সমুদ্র সৈকতে দেখা যায় না। যারা নির্জনে সমুদ্র উপভোগ করতে চান তাদের জন্য টেকনাফ আদর্শ জায়গা। কক্সবাজার সদর থেকে টেকনাফের দূরত্ব প্রায় ৮৬ কিলোমিটার। টেকনাফ শহর ছাড়িয়ে দক্ষিণে আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে এখানকার সমুদ্র সৈকত। খুবই পরিচ্ছন্ন এই সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা সবময়ই কম থাকে। সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় এখানে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে জেলেদের মাছ ধরার বর্ণিল সব ইঞ্জিননৌকা। লাল, নীল, বেগুনী ইত্যাদি বাহারি রঙের পতাকা দিয়ে জেলেরা এখানে তাদের নৌকাগুলোতে সাজিয়ে থাকেন। নৌকাগুলোর গায়েও থাকে রঙতুলির শৈল্পিক আঁচড়। এছাড়া এ সৈকতে পাশে একটু দূরে দূরেই আছে ঘন ঝাউবন। এখানে আছে সৈকত লাগোয়া জেলেদের বেশ কিছু বসতি। পূর্ণিমার জোয়ারের ঢেউ টেকনাফ সৈকতে বিশাল আকার ধারণ করে। এ সময় সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এসে একেবারে তীরে আছড়ে পড়ে। টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের মূল প্রবেশ পথ থেকে হাতের বাঁ দিকে চলে গেলে যাওয়া যায় শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি। আর হাতের ডান দিকে চলে গেলে যাওয়া যাবে হাজামপাড়া, শিলখালী কিংবা শামলাপুর সৈকতের দিকে। এখান থেকে উত্তর দিকে সৈকতের পাশ দিয়ে আকাশ ছুঁয়েছে তৈঙ্গা পাহাড়। সাগর আর পাহাড়ের নিবিড় বন্ধুত্ব দেখা যাবে এখানে। তাছাড়া এত সুন্দর, এত সাজানো বেলাভূমি দেশের অন্য কোনো সৈকতে কমই দেখা যায়। টেকনাফ সৈকতের আরেক আকর্ষণ সকাল-বিকেল জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করা। চিংড়ির পোনা শিকারীরা এ সৈকতে নিজস্ব কৌশলে সর্বদা ব্যস্ত থাকেন পোনা ধরতে। আর দূর সমুদ্র থেকে নৌকা বোঝাই মাছ নিয়ে শত শত জেলে এখানেই নিয়ে আসেন সকাল-বিকেল। কীভাবে যাবেন :ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফ যাওয়া যায় সড়ক পথে। এ পথে চলাচলকারী এসি বাস হলো সেন্টমার্টিন সার্ভিস। ভাড়া ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন, ইউনিক সার্ভিস, হানিফ এন্টারপ্রাইজের নন এসি বাসও চলে এই পথে। ভাড়া ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। Teknaf কক্সবাজার থেকে বাস ও মাইক্রোবাসে টেকনাফ যাওয়া যায়। বাস ভাড়া ৮০ থেকে ১২০ টাকা। আর মাইক্রোবাসে ১শ’ থেকে ১৫০ টাকা। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের বাস ছাড়ে আন্তঃজেলা বাসটার্মিনাল থেকে আর মাইক্রোবাস ছাড়ে শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে। টেকনাফ শহর থেকে সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে অটো রিকশায়। সময় লাগে আধা ঘণ্টার কম। কোথায় থাকবেন :টেকনাফে থাকার জন্য আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল নে টং (০৩৪২৬-৭৫১০৪), এসি ডবল রুম ১ হাজার ৯শ’ টাকা। এসি রুম ৩ হাজার ১শ’ টাকা এবং সাধারণ দ্বৈত কক্ষ ১ হাজার ৩শ’ টাকা। পর্যটনের এই মোটেল টেকনাফ শহরের প্রায় আট কিলোমিটার আগে। ঢাকার পর্যটন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় থেকে এই মোটেলে বুকিং করা যায়। তবে যারা টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের একেবারে কাছাকাছি থাকতে চান তাদের জন্য আছে সেন্ট্রাল রিসোর্ট। এখানকার ?দামি রুমের ভাড়া ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৩শ’ টাকা। ইকনোমি রুমের ভাড়া ১ হাজার ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা। এছাড়া এখানে সাগরকন্যা, মেঘ বালিকা ও নীলাচল নামে তিনটি কটেজ আছে। প্রতিটি কটেজে আছে দুটি করে রুম। ভাড়া ২ হাজার টাকা করে। ঢাকা থেকেও এই রিসোর্টে আগাম বুকিং দেওয়া যায়। প্রয়োজনীয় তথ্য :টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে লাইফ গার্ডের কোনো ব্যবস্থা নেই। জোয়ার-ভাটার সাঙ্কেতিক কোনো চিহ্ন থাকে না এ সৈকতে। এখানকার জেলেদের কাছে জোয়ার-ভাটার সময়ের সঠিক তথ্য থাকে। তাই সমুদ্র নামতে চাইলে জোয়ার ভাটা সম্পর্কে জেনে নিন। ভাটার সময় কিংবা একাকী সমুদ্রে নামবেন না। একুশেসংবাদ.ডটকম/আর কে/০৫.০৫.২০১৫
Link copied!