ওই দূর পাহাড়ের গাঁয়ে
কখনও ভেবেছেন, সুউচ্চ কোনো পাহাড়ের টিলায় ঘর বেঁধেছেন আপনি। সবুজ শীতল পরিবেশ। বাড়ির আঙিনা ঘেঁষে বয়ে গেছে স্বচ্ছ ঝর্ণা। জলে পা ভিজিয়ে দেখছেন দিগন্তজোড়া নীল আকাশ। আকাশে কখনও ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা, কখনওবা অাকাশের কোল ছুঁয়ে যাচ্ছে রক্তিম সূর্যের কোমল মায়া। আর রাত পাহারা দিচ্ছে চাঁদসহ লাখো কোটি তারা।
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা প্রকৃতি ছেড়ে থাকতেই পারেন না! প্রাণের টানে যারা বসবাসের জন্য বেছে নিয়েছেন দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকেই। এমন প্রকৃতিপ্রেমী কিছু মানুষ মিলেই সেখানে গড়ে তুলেছেন স্বতন্ত্র রাজ্য। যান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে আড়ি দিয়ে গড়ে উঠেছে এসব বসতি।
পর্তুগালের পাথুরে গ্রাম থেকে শুরু করে পেরুর ভাসমান গ্রামসহ আরও অনেক পাহাড়ি বসতি রয়েছে। যেখানে প্রকৃতি আগলে রেখেছে মানব সন্তানদের আর মানুষ প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে প্রকৃতির কোলে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হাজার হাজার ফুট উপরে এসব গাঁয়ের খোঁজ নিয়েই এবারের আয়োজন।
ফিলিপাইন সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আগ্নেয় দ্বীপে গড়ে উঠেছে একটি বসতি এলাকা। ১৭৮০ সালে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ফলে এখানকার অর্ধেক জনগণের প্রাণহানি ঘটে এবং অনেকেই এ জায়গা ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনার ৫০ বছর পর দ্বীপের বাসিন্দারা ফের ফিরে আসেন চিরচেনা প্রকৃতির কোলে। বর্তমানে এখানে প্রায় ২শ’ গ্রামবাসী রয়েছে।
গ্রিসের লিকোনিয়ার পাথুরে পাহাড়ের গায়ে লুকিয়ে রয়েছে আরও এক ছোট মানবনগরী। যেন সবুজ পাহাড়ের কোলে ঠাঁই মিলেছে এখানকার মানুষের। ৩৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এক ভূমিকম্পের কারণে এ দ্বীপটি মূল ভূখণ্ড থেকে সরে যায়। তবে পালায়া মনেমভেশিয়া উপসাগর বেষ্টিত এ দ্বীপ থেকে মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের একটি ছোট্ট প্রবেশপথও রয়েছে।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :