AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ উচ্চতায় উন্নীত হোক


Ekushey Sangbad

১২:২২ পিএম, মে ১০, ২০১৫
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ উচ্চতায় উন্নীত হোক

একুশেসংবাদ : দীর্ঘ ৪১ বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হলো সীমান্ত বিল। অবসান ঘটলো ভয়াবহ এক মানবিক সমস্যার। এই বিল পাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরো অটুট হলো। সেইসঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও আন্তরিকতার এক নতুন দিগন্ত খুলবে বলে আমরা আশাবাদী। বহুল আলোচিত এই সীমান্ত বিল পাসের ফলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি পেলো প্রায় ৫৫ হাজার ছিটমহলবাসী। বলা যায়, বন্দীদশা থেকে মুক্তির স্বাদ পেলন তারা। এতদিন ছিটের মানুষগুলো যাতায়ত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরপত্তাসহ বঞ্চিত হয়েছেন নানান নাগরিক সুবিধা থেকে। বাংলাদেশের মানুষ যারা ভারতে মধ্যে থাকেন এবং ভারতের যারা বাংলাদেশের ভেতরে থাকেন তাদের সবাইকেই আবদ্ধ জীবনযাপন করতে হয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলবাসী ফিরে পাবে তাদের স্থায়ী ঠিকানা। ঘুচবে অবর্ণনীয় দু:খকষ্ট। অবসান হবে শ্বাসরুদ্ধকর জীবনযাপনের। মিলবে নাগরিক সকল সুযোগ-সুবিধা। ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্থল সীমান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি সই হলেও ভারতেরর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে দীর্ঘ সময় ধরে তা ঝুলে ছিল। অবশেষে ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তির সংশোধনী বিলটি গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় লোকসভায় পাস হয়। এর আগে মঙ্গলবার ভারতের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ চুক্তিটি অনুমোদন দেওয়ার পর তা বুধবার সর্বসম্মতভাবে পাস হয় রাজ্যসভায়। দেরিতে হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অমীমাংসিত এই সীমান্ত চুক্তির সমাধান হলো। এখন ভারতের ১৫টি রাজ্য বিধানসভায় বিলটি অনুমোদন হলেই হবে সীমান্ত চুক্তির প্রকৃত বাস্তবায়ন। সীমান্ত বিলটি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের (আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর) বাংলাদেশে থাকবে। এবং ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের (আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর) ভারতে থাকবে। ভারতীয় ছিটমহলগুলোর বেশির ভাগই রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এসব ছিটমহলের ৫৯টি লালমনিরহাটে, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, কুড়িগ্রামে ১২টি ও নীলফামারীতে চারটি। বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারে ৪৭টি এবং জলপাইগুড়িতে চারটি। এ ছাড়া অপদখলীয় জমিও হস্তান্তর করা হবে। এতে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে পাবে ২ হাজার ৭৭৭.০৩৮ একর জমি এবং বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে পাবে ২ হাজার ২৬৭.৬৮২ একর জমি। চুক্তিটি বাস্তবায়নের ফলে দু’দেশের মধ্যে সাড়ে ৬ কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমানাও চিহ্নিতকরণের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এখানে বলা বাহুল্য চুক্তিটি পাসের মধ্যদিয়ে ভারত বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের উৎকৃষ্ট উদাহরণ দিয়েছে। এখন এ চুক্তির বাস্তবায়ন দুদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করবে। আমরা আশাবাদী প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে অন্যান্য অমীমাংসিত ইস্যুতেও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে ভারত। এরমধ্যে অন্যতম আরও একটি বড় অমীমাংসিত বিষয় হচ্ছে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি। এ বিষয়টিও মোদি সরকার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিবে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের। তবে এজন্য আমাদের কূটনীতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। একুশেসংবাদ.ডটকম/আর কে/১০.০৫.২০১৫
Link copied!