ফরিদপুরের বাস ডাকাতদের সহযোগী কারা? ভিডিও
একুশে সংবাদ: সোমবার রাতে ফরিদপুরের মধুখালীতে সোহাগ পরিবহণের একটি বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতির ঘটনায় বাসের চালক আয়নাল, তার সহকারী অপু ও বাসটির টিকেট চেকার রবিউলকে পরিদন আটক করে পুলিশ। তাদের আসামি করে ডাকাতির মামলাও করা হয়।
তাদের আ্টক করায় এখন বিক্ষুব্ধ পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। তারা হুমকি দিয়েছে তাদের ছেড়ে না দিলে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হবে। আর খুলনা বিভাগে আটকের পর থেকেই পরিবহণ ধর্মঘট চলছে। তারা ফরিদপুরের পুলিশ সুপার এবং মধুখালী থানার ওসিকে প্রত্যাহারেরও দাবী করেছেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জামিল হাসান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডাকাতি সংঘটিত হওয়া বাসের ২২ জন যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাসের চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের ভাষ্য, যাত্রীবেশী সাত ডাকাত আশুলিয়া থেকে বাসে ওঠে। ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা পার হওয়ার পরপরই ওই ডাকাতেরা বিনা বাধায় চালকের কাছ থেকে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতি করে। ডাকাতির পর যাত্রীদের দাবির মুখে বাধ্য হয়ে চালক বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মধুখালী রেলগেট এলাকায় থামালে যাত্রীরাই মধুখালী থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানান।
এনিয়ে সোহাগ পরিবহণের এমডি ফারুক তালুকদার জানান,' আমরা যাত্রীদের ভিডি ফুটেজ দেখে সাত ডাকাতকে চিহ্নত করেছি। বাসে মোট যাত্রী ছিল ২৯ জন । ডাকাতির পর নেমে যায় সাতজন। বাকি ছিল ২২ জন যাত্রী। তাহলে নেমে যাওয়া সাতজনই যাত্রীবেশে ডাকাত। ' তিনি বলেন,' ডাকাতিতে চালক এবং তার সহকারীরা সহায়তা করেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু তাদের আটক করা এবং মামলা দেয়া গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান চৌধুরীর দাবী,'এসপি এবং ওসি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চালকসহ তিনজনকে আটক করেছে। তবে তিনিও বলেন,' চালক হেলপার এই ডাকাতিতে সহায়তা করেছে কী না তা তদন্তের আগে বলা যাবে না।'
তারা তাদের চিহ্নিত করা সাত বাস ডাকাতের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করেন। যাত্রী তালিকা থেকেও তাদের চিহ্নিত করছেন মালিক পক্ষ।
https://youtu.be/4cyE5ShRsn4
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :