পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জন ফোর্বস ন্যাশ
একুশে সংবাদ:মারা গেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জন ফোর্বস ন্যাশ। বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে এক ট্যাক্সি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি ও তার স্ত্রী অ্যালিসিয়া। ন্যাশের বয়স হয়েছিল ৮৬, অ্যালিসিয়ার ৮২। খবর হাফিংটন পোস্টের। পৃথিবীতে বিখ্যাত অর্থনীতিবিদের অভাব নেই। সবার ভিড়ে ন্যাশ এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। তার জš§ ১৯২৮ সালের ১৩ জুন। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ব্লুফিল্ড শহরে। ছোটবেলা থেকেই ন্যাশ দারুণ মেধাবী ছিলেন। ১৯৯৪ সালে যখন তাকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল, তখন সেটা শুধু এক বিরাট আবিষ্কারের স্বীকৃতিই ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনে এক গভীর খাদ থেকে উত্তরণের স্বীকৃতিও ছিল। বিপুল প্রতিভার অধিকারী, উপন্যাসের মতো উত্থান-পতনসমৃদ্ধ চরিত্র ন্যাশ সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছেন ‘অ্যা বিউটিফুল মাইন্ড’-এর নায়ক হিসেবে। ওই সিনেমাটি তৈরি হয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা সিলভিয়া নাশার-রচিত ন্যাশকে নিয়ে লেখা একটি বই থেকে। সিনেমার শেষ দৃশ্যে পর্দায় কয়েকটি লাইন ভেসে ওঠে। যারা সত্যিকারের জন ন্যাশকে চিনতেন না, ওই ক’লাইন পড়েই হয়তো তাদের অনেকেই স্তব্ধ হয়ে গেছেন কয়েক মুহূর্তের জন্য। যেখানে রয়েছে তীব্র মানসিক উপলব্ধির রসদ। গণিতের অসম্ভব প্রতিভাবান অধ্যাপক দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন সিজোফ্রেনিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি গেম থিওরি বিষয়ে ২৭ পৃষ্ঠার একটি থিসিস লিখেছিলেন। একাধিক প্রতিপক্ষ আছে এমন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ে গাণিতিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল ওই থিসিসে। যেখানে তিনি বর্ণনা করেছেন মানুষের সংঘাত আর মিলের গাণিতিক রূপ। সব অসাধারণ সৃষ্টির সেই নায়ক চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। অকৃত্রিম বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়েই। জীবনের মতো তার মরণও হয়ে থাকল নাটকীয়।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :