পলাশবাড়ী পল্লীতে যৌতুকের জন্য মারধরে গর্ভবতীর মৃত্যু
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল প্রতিনিধি গাইবান্ধা ঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মামুনী খাতুন (২০) নামে গর্ভবতীর এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য মারধরের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী, দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং পলাশবাড়ী উপজেলার নিকটবর্তী অভিরামপুর গ্রামের ঘাতক স্বামী শামিউল ইসলাম (২৫), দেবর শাফিউল ইসলাম, শ্বশুর হাফিজার রহমান ও শাশুড়ি শাহিদা বেগম। জানা যায়, বিবাহের সময় বরের পরিবারকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রাদিসহ ৩ লাখ টাকা মূল্যের উপহার বিনিময়েও কেউ খুশি হয়নি। পর্যায়ক্রমে আরও লক্ষাধিক টাকার যৌতুকের দাবিতে ভিকটিম পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করাসহ কারণে-অকারণে অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন, বাড়ি থেকে পিত্রালয়ে পাঠানো অব্যাহত থাকে। কিন্তু যৌতুক দিতে অস্বীকার ও আপত্তির মুখে গত ১৪ মে দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার সময় পাষ- স্বামী, দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়ির নিজ বাড়ির উঠানে এলোপাথারি মারডাং-এর এক পর্যায়ে গর্ভবতী স্ত্রীর তলপেটে স্বামীর প্রচন্ড লাথিতে পেটের সন্তানসহ ভিকটিম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। এ সময় আত্মহত্যার অপপ্রচার চালিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হলেও প্রতিবেশী লোকজনের মুখে হত্যার অভিযোগ শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা হায়দার আলী বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি এজাহার লিপিবদ্ধ করেন। থানা কর্তৃপক্ষ এই এজাহার গ্রহণের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক)/৩০ ধারায় মামলা রেকর্ড করেন। পরে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গত ১৫ মে গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করেন। সিভিল সার্জন এই ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। পলাশবাড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :