AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিকৃত করবেন না স্বাধীনতার ইতিহাস


Ekushey Sangbad

১১:২৬ এএম, এপ্রিল ৫, ২০১৪
বিকৃত করবেন না স্বাধীনতার ইতিহাস

cccccccccccccএকুশে সংবাদ : কোনও দেশের স্বাধীনতা যে জনজীবনে এবং বিশেষ আনন্দের দিন যাহা দেশে বিদেশে প্রত্যেক স্বাধীনতাকামী লোক পালন করে। বাংলাদেশেও তার স্বাধীনতা ৪৩ বছর পূর্ণ করেছে এই ২৬ মার্চ। দেশের স্বাধীনতা দেশ বা দেশবাসীর গর্ব, স্বাধীনতা ইতিহাস যাঁরা নির্মাণ করেন, তাঁরা ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক করেন না কারণ প্রয়োজন হয় না। দেশ ও বিদেশে দেশবাসী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবারও পালন করেছে দেশের স্বাধীনতা। এই মহান দিবসে এক বিশেষ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের (বিএনপি) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে বিএনপি আয়োজিত এক সেমিনারে বলে বসলেন ‘জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতা ঘোষক যাহা নাকি ইতিহাসে লাল অক্ষরে লিখা আছে।’ যুবরাজের কি মস্তিষ্ক বিকৃত হতে চলেছে? পলাতক হয়ে রয়েছেন অনেকদিন কমপক্ষে আরও পাঁচ বছর দেশের ফিরতে পারছেন না, তাই হয়তো এই বিকৃত প্রলাপ, ইহা কি তিনি আবিষ্কার করেছেন? তারই পিতা জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতায় ছিলেন সাড়ে পাঁচ বছর এবং মাতা খালেদা জিয়া ছিলেন ১০ বছরের বেশি। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তাহার পিতা মাতা বিএনপির কোনও নেতা নেত্রী কিংবা সমর্থক বুদ্ধিজীবী কখনতো এই দাবি করেননি। তিনি কি জানেন জিয়াউর রহমান আমলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলে দুটি ঘোষণা ছাপা হয়েছিল-যার প্রথম ঘোষণার শেখ মুজিব বলেছেন, ‘এটি আমার শেষ বার্তা হতে পারে, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যে আপনারা যেখানে এবং যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে পাকিস্তানের শেষ সেনাটি বিদায় না হওয়া এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হবে। দ্বিতীয় ঘোষণায় নিজে সরকার গঠনের দাবি করেননি জিয়াউর রহমান এবং স্বাধীনতার ঘোষক বলে প্রচার করেননি জীবিতাবস্থার। ২৭ মার্চ প্রচারিত ঘোষণার জিয়া বলেছিলেন আমি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর অস্থায়ী কমান্ডার ইন চিফ, শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরও ঘোষণা করছি যে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন ও আইনানুগ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কাজ করিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তারেক রহমান আপনি কি লক্ষ্য করেছেন জিয়াউর রহমান নিজেকে অস্থায়ী কমান্ডার ইন চিফ বলেছেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তারেক রহমান আপনার ইহাও জানা ছিল যে, ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধের জিয়াউর রহমানের একটি নতুন বার্তা যোগ করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বার্তাটি গায়েব করেছিল যাহা পরবর্তীতে আইনি লড়াইয়ে বিএনপি হেরে যায় যদিও সেই সংশোধনের কোনো অস্তিত্ব নেই। তারেক রহমান বাংলাদেশের জন্ম লগ্নে শিশু ছিলেন। স্বাধীনতার ইতিহাসের স্বল্প জ্ঞান থাকতেই পারে কিন্তু তার মাতা বেগম জিয়াও একইভাবে প্রলাপ বকছেন। একটি নেহাত অপত্য সেই? তিনি কীভাবে ২৭ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে তারেকের বিকৃত ইতিহাস সমর্থন করেন? তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ১০ বছর। তাঁর বক্তব্য সংবিধানের ৭(ক) ও ৭(খ) অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল নয় কি? বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বেগম জিয়াকে সংবিধান লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে আইনি ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে আহবান জানিয়েছেন এবং ন্যায্যভাবে খারেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার এবং তলব করে জবাব চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। দেশের বিকৃত ইতিহাসে ইন্দন দিচ্ছেন কিছু বিএনপির দলীয় চাটুকার। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত নাকি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। হায় চাটুকার! তাজউদ্দিন আহমেদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাজউদ্দিন আহমেদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম কি জিয়ার নেতৃত্বে এবং নির্দেশে কাজ করেছেন? সেনা বাহিনীর প্রধান এম এজি ওসমানী তাহলে নিশ্চয় জিয়ার নির্দেশেই মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। অদ্ভূত যুক্তি। জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়ে কোনো সরকার গঠন করেছিলেন? তাঁর ম্যান্ডেট কি ছিল? যদিদ না হয় তবে কি করে তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন? পাকিস্তান আমলে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনগণ শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছিল এবং সেই ম্যান্ডেট অনুযায়ী পাকিস্তানের সামরিক শাসক মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা ছেড়ে না দেওয়ার স্বাধীনতার বিষয় চলে আসে সেই নির্বাচিত প্রতিনিধি মধ্য থেকেই একাত্তরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের ঘোষণা আসে এবং তাতে স্বাধীনতা ঘোষণার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান, এতদিন আপনারা বলেছিলেন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক, আজ বলছেন প্রথম রাষ্ট্রপতি। আপনাদের এই মতিভ্রমের কারণ কি? দেশের সচেতন নাগরিককে আপনাদের মিথ্যা প্রভাবিত করতে পারবে না। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর কেন এই অহেতুক বিতর্ক? এই স্বাধীনতা দিবসে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পেয়ে যে জাতি বিশ্বরেকর্ড করেছে তাদের মধ্যে বিভেদ ও বিদ্বেষ আনতে পারবেন না, বিরত থাকুন বিকৃত ইতিহাস চর্চা থেকে।
Link copied!