স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ১০৭ জন
একুশে সংবাদ : আবার হাঁটতে পারবেন, ফিরে যেতে পারবেন স্বাভাবিক জীবনে এমন আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পা হারানো মানুষগুলো। তবে থাইল্যান্ড সরকার ও বাংলাদেশের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন কেন্দ্রের কল্যাণে পায়ে ভর করে দাঁড়ালেন রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় পা হারানোদের মধ্যে ৫ জনসহ ১০৭ জন। শনিবার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রথম পর্বের সমাপনী পর্বে তাদের কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়।
তানিয়া আক্তার ৪ বছর বয়সে গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত হয়ে দুই পায়ের অর্ধেক অংশসহ দুই হাতের আঙ্গুল হারায়। বুঝতে শেখার পর মেয়েটি আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। এক যুগ পর কৃত্রিম পা পাওয়ায় নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে তানিয়া।
তানিয়ার মতোই এমন অনেকে কারো ৬ মাস কারো একবছর আবার কারো বা পাবিহীন অবস্থায় পেরিয়ে গেছে যুগ। এমনই ১০৭ জনের কৃত্রিম পা সংযোজনের দায়িত্ব নিয়েছে থাইল্যাণ্ড সরকার।
সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এ দাতব্য সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় যারা পা হারিয়েছেন তাদের ৫ জন আর অন্যান্য দুর্ঘটনায় পা হারা ১০২ জনকে আবারো উঠে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে থাইল্যাণ্ডের ৬৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
রানা প্লাজায় দুর্ঘটনায় আহতরাও কৃত্রিম পা সংযোজনের মাধ্যমে আবারো কর্মজীবনে ফিরে যেতে চান।
নিয়মিতভাবে বিকল্প অঙ্গ প্রস্তুত ও প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও থাইল্যাণ্ড সরকার একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
একুশে সংবাদ/mp
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :