মেলায় বউ !
একুশে সংবাদ : মেলায় বউ পাওয়া যায় এমন কথা হাস্যেরসের খোরাক যোগাবে। কিন্তু তারপরও এমন কথা- ‘দাদা পায়ে পড়ি রে, আমাকে মেলা থেকে বউ এনে দে।’ এ বায়না এখন হরিয়ানার ঘরে ঘরে।
লিঙ্গ বৈষম্যের যাঁতাকলে সে রাজ্যে এখন বউ মেলা ভার। জীবনসঙ্গী খুঁজতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে হরিয়ানার অবিবাহিত যুব সমাজের। হেলায় যাচ্ছে জীবন-যৌবন। সুরাহা না পেয়ে অবশেষে ভোট বাজারে ঝোপ বুঝে কোপ মারার চেষ্টায় বউ সন্ধানীরা। রাজনেতাদের কাছে ‘অবিবাহিত পুরুষ সংগঠনে’র একটাই আবদার, ‘বউ দাও, ভোট দেব।
কিন্তু বউ খুঁজে দেয়া কী আর মুখের কথা। ভোটের বাজার গরম থাকলেও নাছোড়বান্দাদের কোনোভাবেই আশ্বাসবাণী শোনাতে পারেননি রাজনেতারা। হরিয়ানায় প্রচার চালাতে এসে এই অদ্ভুত দাবির মুখে পড়ে হতবম্ভ নেতারাও।
কংগ্রেস-বিজেপি বা আপ নয় যে দলের নেতারাই এখানে আসছেন তাদেরকে ঘটক ঠাওড়াচ্ছেন অবিবাহিত পুরুষ সংগঠনের সদস্যরা। তাদের আবদারে ঢোক গিলছে রাজনৈতিক মহল।
ঘরিয়ানায় বিয়ের হাহাকারের পেছনে রয়েছে এক গুরুতর সামাজিক ব্যাধি। মধ্যযুগীয় বর্বরতা জেঁকে বসেছে এখানকার সমাজিক জীবনে। পুত্রসন্তানের চাহিদায় নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে কন্যাভ্রূণ।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, হরিয়ানায় প্রতি এক হাজার পুরুষে স্ত্রী ৮৭৯জন। ফলে ভরপুর যৌবনেও মিলছে না সঙ্গীনি। তাই সামাজিক ব্যাধিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পৌঁছে দিতে ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ নীতির সাহায্য নিয়েছেন তারা। কিন্তু মেলেনি সদুত্তর।
এই মাগ্না-গ্লার বাজারে বিবাহযোগ্য কন্যা দিতে না পেরে অনেকটা আঙুর ফল টকের মতোই মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক নেতারা। বিবাহযোগ্য ওই ‘পাত্র’দের এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে কণ্যাভ্রূণ হত্যার কথা উঠতেই ঢোক গিলছেন তারা।
এদিকে সেখানকার নারীরা বলছেন, কন্যাভ্রূণ হত্যা ভোটের ইস্যু নয়। এটি একটি সামাজিক সমস্যা। সামজিক সচেতনতা বাড়িয়ে সমস্যাটির সমাধান করতে হবে।
একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/১৪-০৪-১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :