অনিশ্চয়তার মুখে চট্টগ্রাম মেরিনার্স বাইপাস সড়ক প্রকল্প
একুশে সংবাদ : রকল্প কাজের মোট বরাদ্দের ৭০ ভাগ ব্যয়ও হয়ে গেলেও কাজ শুরু করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম মেরিনার্স বাইপাস সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ।
চসিক সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট মোড় থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত মেরিনার্স বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় চসিক। ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৫৭ কোটি ২৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার অর্থায়ন করবে ৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় করার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৪ সালের জুন মাসে।
সে হিসেবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় আছে আর মাত্র আড়াই মাস। অথচ সিটি করপোরেশন এখনো প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরুই করতে পারেনি। কিন্তু প্রকল্প বরাদ্দের ৭০ ভাগ টাকা তুলে ইতোমধ্যে ব্যয় করে ফেলেছে চসিক কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের এতো টাকা কোন খাতে খরচ করা হয়েছে জানতে চাইলে চসিক মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে দু’দফায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে জেলা প্রশাসন। এই পাওনার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও থেমে আছে।’
তিনি জানান, ২০১০ সালে বহদ্দারহাট মোড় হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত মেরিনার্স বাইপাস সড়ক উন্নয়নসহ ডাইভারশন খাল ও সন্নিহিত খালসমূহের পুনর্বাসন শিরোনামে প্রকল্পটির কাজ শুরু করার কথা। প্রকল্পটি ৩৩১ দশমিক ৮ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫০ কোটি টাকা। ভবনের ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ৩ দশমিক ২৫২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, একটি সেতু ও দু’টি কালভার্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
জমি অধিগ্রহণের কাজ থেমে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) রাব্বি মিয়া বলেন, ‘প্রদত্ত টাকার পরিমাণের কথা সঠিক নয়। তাছাড়া পুরো টাকা জমা না দিলে তো জমি বুঝিয়ে দেওয়ারও নিয়ম নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের জরিপ কর্মকর্তারা যৌথভাবে স্বাক্ষর করে আমাকে বুঝিয়ে দিলে আমি বিভাগীয় কমিশনারকে বুঝিয়ে দিব। বিভাগীয় কমিশনার করপোরেশনকে জমি বুঝিয়ে দিবেন। আর জমি বুঝিয়ে দেওয়ার আগে প্রকল্পের কাজ শুরু করা কখনো সম্ভব নয়।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের ২ বছর ৯ মাস শেষ হলেও কাজ শুরুই করতে পারেনি চসিক।’ আগামী আড়াই মাসেও কাজ শুরু করার কোনো সম্ভবনা নেই। এ অবস্থায় নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা ও যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগই পোহাতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/১৬-০৪-১৪ৃ
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :