AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুড়িগ্রামে ভূট্রার চাষ করে কৃষকরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন


Ekushey Sangbad

০৬:৫৭ এএম, এপ্রিল ১৭, ২০১৪
কুড়িগ্রামে ভূট্রার চাষ করে কৃষকরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন

মমিনুল ইসলাম বাবু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ যে এলাকার ধূ ধূ বালুরচরে আগে কোন দিনই কৃষকরা চাষাবাদ করার কল্পনা করে নি, এখন ওই দ্বীপচরেই সোনা ফলাচ্ছে রাজিবপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষীরা। প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ভূট্রার চাষ করে কৃষকরা তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সোনার চেয়ে বেশি খাটি মাটিতে পরিনত হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নদী বেষ্টিত প্রত্যন্ত বড়বেড়, নাওশালা ও শিকারপুর দ্বীপচরের বালু মাটি। আর এ উপলক্ষে ওই দ্বীপচর গুলোতে পালিত হলো পায়োনিয়ার ভূট্রার মাঠ দিবস। গত বুধবার শিকারপুর চরে পেট্রোকেম (বাংলাদেশ) লিং এর উদ্যোগে পায়োনিয়ার ভূট্রার মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ভূট্রার বিভিন্ন জাতের ফলনের উপর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান, পেট্রোকেমের রিজিওনাল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান, এমফোরসির কর্মকর্তা মো. রফিউল আমিন, বিভিন্ন  জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বৃন্দ প্রমূখ। আর এ অনুষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন এমফোরসি নামের একটি উন্নয়ন সংস্থা। আলোচনায় ওই চরের কৃষক আনছার আলী (৬৫) বলেন, আমি এবার ১৩ শতক জমিতে পায়োনিয়ার (৩৩৯৬) জাতের ভূট্রার চাষ করে ১৬ মন ভূট্রা পেয়েছি। তিনি আরো জানান, আমার পাশের জমির মালিক রহিম উদ্দিন ও ছানোয়ার ভিন্ন জাতের ভূট্রার চাষ করেছিলেন। তাদের ভূট্রার চেয়ে আমার উৎপাদন প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, আমার উপজেলায় এবার সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর বিভিন্ন জাতের ভূট্রার চাষ হয়েছে। তার মধ্যে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের বড়বেড়, নাওশালা ও শিকারপুর চরে ভূট্রার চাষ বেশি হয়েছে। এই দ্বীপচর গুলিতে ৮ টি প্রদর্শনী প্লটে ভূট্রার চাষ করা হয়। তার মধ্যে শিকারপুর চরের ছানোয়ার হোসেনের আড়াই শ’ একর জমিতে ভূট্রার চাষ হয়েছে। ছানোয়ারের জমির ভূট্রার  ফলনের চেয়ে ওই ৮ টি পায়োনিয়ার (৩৩৯৬) জাতের ভূট্রার ফলন অনেক বেশি হয়েছে। প্রদর্শনী ভূট্রার চাষে পেট্রোকেম (বাংলাদেশ) লিং এর বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই চরের পতিত বালুচরে আগে কোন ফসলের চাষ হতো না, আমাদের কৃষি অফিসের পরামর্শে ও পেট্রোকেমের কর্মীদের সহযোগিতায় এক বিঘা জমিতে ৪৫ মন থেকে ৫০ মন ফসল উৎপাদন হচ্ছে। ওই চরের দেড় শ’ কৃষক আগামী বছর পায়োনিয়ার জাতের ভূট্রার  চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
Link copied!