জীবননগরে ভুয়া জন্মনিবন্ধন দিয়ে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করার অভিযোগ
জীবননগর প্রতিনিধি ঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় বাঁকা ইউনিয়নের বাঁকা গ্রামের মিল পাড়ার লিয়াকত আলীর মেয়ে সোহাগী খাতুন (১৪) , আলীপুর হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর এক জন নিয়মিত ছাত্রী। তার বাবা গত ১৬ এপ্রিল বুধবার তার নিজ বাসভবনে মহেশপুর থানার জলিলপুর গ্রামের আব্দুল রশিদের পুত্র সুমন (১৫) আনুমানিক এর সহিত বিবাহ সম্পন্ন করেন কাশিপুর গ্রামের আঃ মজিদের পুত্র কাজী আবুল হাসেম(৩৮)।
এলাকাসীর থেকে বাল্য বিবাহর তথ্য পেয়ের্ হাজির হয় । মেয়ের পিতা লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের নিকট তার মেয়ে সোহাগীর জন্মনিবন্ধন সনদ প্রেরণ করে । সাংবাদিকরা জন্মনিবন্ধন সনদ দেখে জিজ্ঞাসা বাদ করেন যে এই জন্মনিবন্ধন সনদ কবে এবং কে দিয়েছেন , সোহাগীর বাবা লিয়াকত আলী জানান যে,৪ নং বাঁকা ইউনিয়ন থেকে জন্মনিবন্ধন পেয়েছে। সাংবাদিকরা তার জন্মনিবন্ধন সনদ দেখে বাস্তব এবং চাক্ষুস প্রমাণ পেয়েছে যে, এই সনদ গত ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ সালে ইসু হয়েছে, যাহার বর্তমান জামাতের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাবলুর রহমানের নামে ইসু করা হয়েছে। যে সময় বাবলুর রহমান চেয়ারম্যান ছিলেন না।
সাংবাদিক বর্গ বর্তমান জামাতের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাবলুর রহমানের নিকট এই সনদ সর্ম্পকে জানতে গেলে তিনি জানান যে,তিনি এবং তার সচিব শাহীন বাবু কেহই এই জন্মনিবন্ধন প্রদান করেননি । এই মর্মে তিনি জানান যে,সোহাগীর বিবাহের দিনে জন্মনিবন্ধন সনদ আর তাহার বাঁকা ইউনিয়নের নিবন্ধন কৃত জন্মসনদের পরিচয়পত্র নম্বর কোন মিল নাই এবং তিনারা সাক্ষর করেন নাই। চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান বলেন- কোন এক চক্র আমার সাক্ষর ও সীল নকল করে এই জন্ম সনদ দিয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, এই ভুয়া ও জাল জন্মনিবন্ধন সনদ চক্রকারীদের অবিলম্বে তাহাদেরকে সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
এই বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ইকবাল আহম্মেদ জানান যে, গত বুধবার বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে পুলিশি তদন্ত করেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানার এস আই সুব্রত তৎক্ষনিক বাল্য বিবাহ বন্ধ করে আসেন। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত জালচক্রকে আটক করে করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করেবেন। এই বিষয়ে পুলিশের কর্মতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :