AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নড়াইলের সরকারী মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি হয়ে উঠেছে গোচারণভূমি: গাজার আড্ডার নিরাপদ স্থান: অকেজো পড়ে আছে সরকারী জমি


Ekushey Sangbad

১১:৫৯ এএম, এপ্রিল ১৭, ২০১৪
নড়াইলের সরকারী মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি হয়ে উঠেছে গোচারণভূমি: গাজার আড্ডার নিরাপদ স্থান: অকেজো পড়ে আছে সরকারী জমি

জাহাঙ্গীর শেখ, নড়াইল প্রতিনিধি, নড়াইল: আশির দশকে নড়াইল শহর ছেড়ে নড়াইল-যশোর সড়কের পার্শ্বে  ৯ একর ৭৫ শতক জায়গার উপর নির্মিত হয় জেলার মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি । যা স্থানীয়ভাবে “ফিসারী” নামে পরিচতি । শুরু থেকে বেশ ভালোভাবেই চলছিল জেলার একমাত্র মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি । কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে কেন্দ্রটি। আর জাইগাটি ব্যবহারিত হচ্ছে গোচরন ভ’মি আর গাজাখোরদের নেষা করার নিরাপদ স্থান হিসাবে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এখানকার প্রজনন কেন্দ্র চালু ছিল। তখন ২টি হ্যাচারীতে সাদা মাছের রেনু উৎপন্ন হতো তা এখানকার ৮টি পুকুরে বড় করে স্থানীয় মৎসচাষীদের মাঝে সরবরাহ করা হতো । এই মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রকে উপলক্ষ্য করে এভাবে নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় মাছের খামার আর ঘের গড়ে ওঠে । ৩ দশকে ঘের আর পুকুরের সংখ্যা বেড়ে এখন প্রায় ১৩ হাজারে দাড়িয়েছে । এর মধ্যে চিংড়ি মাছের ঘেরের পরিমান প্রায় ৩ হাজার । আর এই ি শল্পের উপর জিবিকা নির্ভর করছে জেলার অনন্ত ১লক্ষ ২০ হাজার লোক। অকোজো আর অব্যস্থাপনায়  পুকুরগুলো ঘাসে ভরে গেছে যা এখন কেবলই গোচরন ভূমি । পুকুরের তলদেশের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে আছে বছরের পর বছর ধরে । প্রজনন কেন্দ্রের ৮টি পুকুরের একটি মাত্র পুকুরে পানি থাকলে ও সেটি কাপড়কাচা আর ধোয়া ছাড়া কোন কাজে লাগে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো এলাকা জুড়ে কেবল ই গাজাখোরদের আড্ডা । সন্ধ্যা হলে খামারের ভিতরে শুরু হয় গাছের ডাব আর ফল পাড়ার উৎসব । মাঝে মধ্যে অবশ্য বনভোজন ও করেন পার্শবর্তী এলাকার লোকজন । এসব খোজ নেবার জন্য মৎস খামারে একমাত্র এল এম এস এস  শাহজাহান  কে পাওয়া গেলো, ১০ একরের বিশাল এই এলাকার একমাত্র ব্যক্তি । জেলা মৎস অফিসে কথা বলার জন্য পাওয়া গেলো প্রধান সহকারী মুজিবর রহমান কে । তার আচরনে মনে হলো  তিনি খামারের হিসাব নেওয়াতে বেশ অসন্তুষ্ট। কোন তথ্য না দিতে চেয়ে তিনি উল্টো খামারের তথ্য নেবার জন্য মৎস বিভাগের ঢাকা  ডিজি অফিসে যাবার জন্য বলেন । তিন জাইগা দ্বায়িত্বে থাকা মৎস কর্মকর্তা এনামূল হক জানান,খামারের পুকুর গুলোতে পানি ধরে রাখা যায় না তাই রেনু উৎপাদন করা হচ্ছে না । তারা অন্য আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি হ্যাচারী সংস্কার করে চিংড়ি মাছের রেনু উৎপাদন করবেন  বলে যানান । এছাড়া ভবিষ্যতে টাকা পাওয়া গেলে পুকুরগুলো সংস্কারের উদ্যোগের কথা বলেন এই কর্মকর্তা । মাসে গড়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিচালিত  এই খামার এলাকার হাজার হাজার ঘের এবং মৎসজীবিদের কোন কাজে লাগছে না । স্থানীয় মৎসজীবিরা বলছেন তারা যশোর,খুলনা ,সাতক্ষীরা থেকে মাছের রেনুপোনা সংগ্রহ করেন । তা সবসময় ভালো হয়না  এবং আনতে প্রচুর ব্যয় হয় । সরকারী হ্যাচারী থেকে পোনা পাওয়া গেলে তা নির্ভেজাল হতো এবং দামে ও কম পাওয়া যেত তা চাষ করে তারা বেশী লাভবান হতেন ।  সরকারী কোটি টাকার এই সম্পত্তি এলাকার মানুষের কাজে লাগানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হোক, এটাই বিল এলাকা নড়াইলের লক্ষ মৎসজীবি মানুষের দাবী ।
Link copied!