গোপনে শিক্ষক নিয়োগের জের: কুড়িগ্রামে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
মমিনুল ইসলাম বাবু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ জুম্মাহাট দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্রদের পিয়ন দিয়ে লাঞ্চিত করার অভিযোগে অভিভাবক শিক্ষার্থীরা মিলে ঐ অধ্যক্ষকে দিনভর মাদ্রাসার একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। চাপের মুখে অভিযুক্ত পিয়নকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও অধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে হুমকি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে সকাল থেকেই পুলিশ রয়েছে।
জানাযায়, জেলার উলিপুর উপজেলার ঐ মাদরাসায় সম্প্রতি অধ্যক্ষ ও গর্ভনিং বডির সভাপতি মিলে গোপনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে একজন সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দিলে কমিটির মাঝে দ্বিদাবিভক্তি দেখা দেয়। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করায় গত বুধবার অধ্যক্ষ ও সভাপতির বলয়ের কর্মচারিরা গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা মশিয়ার রহমানকে মাদরাসা চত্ত্বরে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এ দৃশ্য দেখে মহুর্তেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাৎক্ষনিকভাবে দোষী কর্মচারীর বিচারের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ তাদের দাবি অগ্রাহ্য করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্লাসে যাওয়ার জন্য হুমকি-দামকি দিতে থাকেন। বিষয়টি স্থানীয় অভিভাবকদের মাঝে জানাজানি হলে তারাও ঐ অধ্যক্ষের অতীতের সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মিলে ঐ মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দিতে গেলে অধ্যক্ষের অনুগত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ৫ জন ছাত্র আহত হলে আন্দোলনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং অধ্যক্ষকে মাদ্রাসার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। দীর্ঘক্ষন অবরুদ্ধ থাকার পর আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে অধ্যক্ষ অভিযুক্ত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি আব্দুল মতিনকে (পিয়ন) সাময়িক বরখাস্ত করলেও আন্দোলনকারীরা দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ ছিল। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. মুনসুর আলম খান জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :