ন্যায্য মূল্য না পেয়ে তরমুজচাষিরা হতাশ
একুশে সংবাদ : এবারও হতাশ দক্ষিণের বাঙ্গি ও তরমুজচাষিরা। ফলন ভালো হলেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
চাষিদের কাছ থেকে প্রতিটি তরমুজ কেনা হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়। অন্যদিকে সেই তরমুজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকায়।
বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে মোট ১১টি আড়তে বাঙ্গি ও তরমুজের সরবরাহ হয়ে থাকে। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি ট্রলার বোঝাই হয়ে পোর্ট রোডে আসে এসব বাঙ্গি ও তরমুজ।
বরিশালের দত্ত বাণিজ্যালয়ের মালিক গণেশ দত্ত জানান, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভোলা, চরফ্যাশন, ভেদুরিয়া, দশমিনা, গলাচিপা, পটুয়াখালী, বাকেরগঞ্জ, নূরাবাদ, নীলকমল, ঘোষেরহাট, দুলারহাটসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে ট্রলার ও নৌকাযোগে বর্তমানে এসব বাঙ্গি ও তরমুজ আসছে।
দত্ত বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার অলোক দে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ব পর্যন্ত তরমুজ আসবে এসব অঞ্চল থেকে।
আড়তগুলোতে তরমুজের আমদানি এখন চোখে পড়ার মতো।
এ বছর দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে বন্যা ও শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় পচন ধরেনি বাঙ্গি ও তরমুজে। এ কারণে ভালো ফলনে বেশ খুশি হলেও ন্যায্য মূল্য না পেয়ে তরমুজচাষিরা হতাশ।
তরমুজ ব্যাপারী মো. লিটন ও শহীদুল ইসলাম জানান, আড়তগুলো থেকে তরমুজের দাম কম পাওয়ায় অনেক সময় তাদের ট্রলার ভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হয়।
তবে আড়তদাররাও বেশি লাভ করছেন না বলে দাবি করেন পোর্ট রোডের জীবন বাণিজ্য ভান্ডারের পরিচালক রুস্তুম সরদার। তিনি জানান, তরমুজের সরবরাহকালে প্রতিবছর বিভিন্ন অজুহাতে ট্রলার মালিকরা দেড়গুণ বেশি ভাড়া আদায় করেন।
অন্যদিকে নদীপথে আসার সময় সাহেবের হাট, ধুলিয়া গোবিন্দপুরসহ অন্যান্য মোড়গুলোতে জেলে ও স্থানীয়রা অনেক সময় ট্রলারচালক ও ব্যাপারীদের মারধর করে তরমুজ-বাঙ্গি ও সঙ্গে থাকা টাকা কেড়ে নেয়।
অপু ট্রেডার্সের মালিক অপু জানান, নগরীতে আসা এসব তরমুজ প্রতিদিন সড়কপথে যাচ্ছে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, নাটোর, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহসহ বাংলাদেশের অনেক স্থানে।
সূত্র জানায়, পরিবহন মালিকদের কারণে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। পাশাপাশি রয়েছে ট্রাফিক সার্জেন্টদের তোলাবাজি। নগরীর জিলা স্কুল মোড়, আমতলার মোড়, বাজার, নথুল্লাবাদ, গড়িয়ারপার, দোয়ারিকা, শিকারপুরসহ বিভিন্ন মোড়ে টাকা দিতে হয় ট্রাফিক সার্জেন্টদের।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :