একুশে সংবাদ  : নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মন্নাননগরের পশ্চিমে আন্ন্যালাচা এলাকায় মাটির নিচ থেকে আরিফ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনা জানা জানি হলে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতকদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত আরিফ হোসেন (২৮) জেলার সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের শুল্লকিয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। সে কালিতারা বাজারে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করতো। আটককৃতদের মধ্যে দুই জনের নাম জানা গেছে, তার হলো ধর্মপুর ইউনিয়নের মোতায়েরের ছেলে সুমন ও হেলালের ছেলে পিয়াস। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আরিফ মোটরসাইকেলযোগে তাঁর তেল বিক্রির টাকা (সংগ্রহ) সংগ্রহে বের হন। ফেরার পথে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আন্ন্যালাচা এলাকায় আটককৃতরাসহ কয়েকজন তাঁর উপর হামলা চালায়। এসময় তারা আরিফকে হাত-পা-মুখ-গলা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মাটির নিচে পুতে তার কাছে থেকে টাকা এবং মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। পরে আটককৃত পিয়াস ও হেলাল আরিফের মোটরসাইকেলটি নিয়ে ওয়াপদা বাজারে বৈশাখী মেলায় গেলে স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে তাদের আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেলসহ তাদের থানায় আনার পথে কালিতারা বাজারে আরিফের পরিচিত একজন মোটরসাইকেলটি চিনে ফেলে। পরে আরিফের পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। এসময় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ এবং ১টি কোদাল, ২টি শাবল, ২টি রামদা উদ্ধার করে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। নিহতের হাত-পা বাঁধা, মাথা, চোখসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮/০৪/১৪