AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আজওআড্ডা আছে ,হালখাতা নেই


Ekushey Sangbad

০৮:১০ এএম, এপ্রিল ১৮, ২০১৪
আজওআড্ডা আছে ,হালখাতা নেই

একুশে সংবাদ : কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। সেই আড্ডাটা না থাকলেও আড্ডা কিন্তু আজও আছে। হারিয়ে গেছে কেবল সেই হালখাতার রঙিন দিন। হারিয়ে গেছে হিসাবের সেই লাল খাতা। যা আর দেখা যাবে না আগের সেই রূপে। বাঙালির জীবনে অন্যতম উৎসব ছিল হালখাতা। নববর্ষের দিনে অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে দেওয়া উৎসবটি এখন অতীত গল্প। হিসাব রক্ষার লালরঙা সেই হালখাতার জায়গাটি ক্রমেই চলে যাচ্ছে কম্পিউটারের দখলে। এত দিনের প্রথা মেনে ছিটেফোঁটা হালখাতার আয়োজন হলেও মোটেই তা চোখে পড়ার মতো নয়। নতুন প্রজন্মের কাছে হালখাতা একেবারেই অজানা এক বিষয়। অথচ বেশ সুন্দর একটি রীতি ছিল হালখাতা। পুরোনো বছরের সবকিছুকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে মানুষ বরণ করে নেয়। তেমনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুরোনো বছরের সব দেনা-পাওনা পরিশোধ করে, পুরোনো বছরের হিসাবের খাতা বন্ধ করে নতুন বছরের হিসাবের খাতা খুলতেই হালখাতা উৎসব। আগেকার দিনে ব্যবসায়ীরা একটিমাত্র মোটা খাতায় তাদের যাবতীয় হিসাব লিখে রাখতেন। বৈশাখের প্রথম দিনে এই খাতাটি হালনাগাদ করা হতো। এদিন ব্যবসায়ীরা তাদের খদ্দেরদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি নতুন বছরের লেনদেন শুরু করতেন। আরেকটু আগে তাকালে (মোগল আমলে) দেখা যায়, এর আসল উদ্দেশ্য ছিল কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কর আদায় করা, যা পরবর্তীকালে ব্যবসায়ীদের হালখাতায় রূপ নেয়। সে সময় ভারতবর্ষে আরবি পঞ্জিকা অনুসারে বিভিন্ন কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করা হতো। আরবি পঞ্জিকার সঙ্গে কৃষি ফলনের অমিল ছিল। মোগল সম্রাট আকবর সুষ্ঠুভাবে খাজনা আদায়ে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তখন খাজনা, মাশুল, শুল্ক পরিশোধ করা হতো চৈত্র মাসের শেষ দিনে। একটি খাতায় এসব খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধকারীদের নাম লিখে রাখা হতো। সেই খাতাতেই হালনাগাদ হিসাব তুলে রাখা হতো। হালখাতা তারই পরবর্তী সংস্করণ। আজ ডিজিটাল হাওয়া এসেছে তো কী হয়েছে। ডিজিটাল হাওয়ার সঙ্গে মিশিয়েও কি ঐতিহ্যটি বাঁচিয়ে রাখা যায় না? এটা তো আমাদের একেবারেই নিজস্ব ঐতিহ্য। অর্থনৈতিক ভিত্তির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ঐতিহ্যটি ধরে রাখার একটা প্রচেষ্টা চালানো যেতে পারে কি? একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/১৮-০৪-১৪
Link copied!