AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

প্রাণের সম্ভাবনা পৃথিবী থেকে ৫০০ আলোকবর্ষ দূরের গ্রহে ?


Ekushey Sangbad

০৬:৫৬ এএম, এপ্রিল ১৯, ২০১৪
প্রাণের সম্ভাবনা পৃথিবী থেকে ৫০০ আলোকবর্ষ দূরের গ্রহে ?

jjjjjjjjjjjjjjjjj একুশে সংবাদ : জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথম বারের মত আমাদের সৌরজগত তথা আমাদের গ্যালাক্সির বাইরে পৃথিবীর আকারের এমন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যাকে নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই আশাবাদী হওয়া যায়। গ্রহটির অবস্থা তার কেন্দ্রীয় নক্ষত্রের বসবাস যোগ্য অঞ্চল অর্থাৎ হেবিটেবল জোনে। আরও ভালো করে বললে, গ্রহটি তার নক্ষত্রকে যে দূরত্ব থেকে আবর্তন করে, সে স্থানের তাপমাত্রা তরল পানির অস্তিত্ব থাকার উপযোগী। যে কারণে এই এলাকা জীবনের অস্তিত্ব থাকারও উপযোগী। নিঃসন্দেহে এই গ্রহের সন্ধান তাই একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এই গ্রহের সন্ধানের বিষয়টি ডব্লিউ এম কেক অবসারভেটরি এবং জেমিনি অবসারভেটরি উভয়ই নিশ্চিত করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রহটির অস্তিত্বের সন্ধান দেয় নাসার কেপলাস স্পেস টেলিস্কোপ। বিগত বছর দুয়েকে এই টেলিস্কোপ হতে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত হতে উল্লেখিত নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তিত চারটি গ্রহের সন্ধান পাওযা গিয়েছিল। নক্ষত্রটির নাম কেপলার-১৮৬ এবং এটি পৃথিবী হতে ৫০০ আলোক বর্ষ দূরে কনেস্টিলিশন সিগনাস এ অবস্থিত। টেলিস্কোপ হতে প্রাপ্ত নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এই নক্ষত্রের যে পঞ্চম গ্রহটির সন্ধান পেয়েছেন তার নামকরণ করা হয়েছে কেপলার-১৮৬এফ। এটি কেপলার-১৮৬ এর পাঁচটি গ্রহের সবচেয়ে বাইরের অরবিটে অবস্থিত। নক্ষত্র হতে আগত আলোর উজ্জ্বলতা কমে যাবার মাত্রা পরিমাণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গ্রহটির আকার নির্ণয় করে দেখেছেন এটি পৃথিবীর চেয়ে মাত্র ১.১ গুন বড়। উল্লেখ্য যে ইতোপূর্বে প্রাপ্ত তথ্য মতে অন্যান্য নক্ষত্রের পরিবারে বসবাস যোগ্য এলাকায় (হেবিটেবল জোন) পৃথিবীর সাথে সবচেয়ে সামঞ্জস্য পূর্ন গ্রহটি ছিল পৃথিবীর প্রায় ৪০ গুন বড় যার কেপলার-৬২ নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তিত। সূর্য হতে পৃথিবী যে পরিমাণ তাপ ও আলো পায়, নতুন সন্ধানপ্রাপ্ত গ্রহটি তার নক্ষত্র হতে পায় তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ তাপ ও আলো। যে কারণে এখানে তরল পানির অস্তিত্ব আছে বলে তাত্ত্বিক ভাবে ধরে নেযা হচ্ছে। উষ্ণ থাকার জন্য পানির প্রয়োজন হয় ঘন কার্বন ডাই অক্সাইডের বায়ুমন্ডল যা সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হতে বায়ুতে আসে। গ্রহটি সম্পর্কে সায়েন্স জার্নালে লেখা প্রবন্ধের মূল লেখক এবং একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী লিসা কুইন্টানা গ্রহটি সম্পর্কে আরও বলেছেন, ‘গ্রহটির ক্ষুদ্র আকৃতি জানান দিচ্ছে যে গ্রহটি পৃথিবীর মতই নুড়ি পাথরময়।’ কিন্তু তারা এটা নিশ্চিত করতে পারেনি এখনও কারণ এখনও পর্যন্ত তারা কেবল গ্রহটির আকৃতি জানেন, ভর নয়। কেপলার-১৮৬ নক্ষত্র হলো একধরনের এম-ড্রফ নক্ষত্র যা সূর্য হতে ঠান্ডা এবং অনুজ্জ্বল। মিল্কীওয়ের প্রায় ৭০% নক্ষত্রই এই ধরনের এম-ড্রফ শ্রেণীর। কুইন্টানা ধারনা করেন ভবিষ্যতে কখনও যদি মহাবিশ্বে কোন জীবনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তবে সেটি কোন একটি এম-ড্রফ নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত কোন হেবিটেবল জোনের কোন গ্রহতেই পাওয়া যাবে। অবশ্য কুইন্টানা ও তার সহকর্মীরা ভাবছে যেহেতু গ্রহটির নক্ষত্রটি সুর্যের চেয়ে ঠান্ডা এবং অনুজ্জ্বল তাই কেপলা-১৮৬এফ গ্রহটি অনেকটা পৃথিবীর কাজিন হতে পারে, জমজ মোটেও না। গ্রহটির অস্তিত্বের বাস্তবতা সম্পর্কে কেপলার এর অন্যতম বিজ্ঞানী থমাস বারকলে বলেছেন, ‘ কেক এক জেমিনির পর্যববেক্ষণ এবং অন্যান্য তথ্য ও গাণিতিক ক্যালকুলেশন কেপলার-১৬৮এফ গ্রহের অস্তিত্বের বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের ৯৯.৯৮% ভাগ আত্মবিশ্বাসী করেছে।’ তাই লিসা কুইন্টানার মত আমরাও ভাবতে পারি - নিঃসন্দেহে এই আবিষ্কার একটি সত্যিকারের সূর্য-পৃথিবীর মত সৌরজগতের সন্ধানের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া । সূত্র:প্রিয়.কম
Link copied!