AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডায়রিয়া বেড়েছে অতিরিক্ত গরমে


Ekushey Sangbad

০৫:৪২ এএম, এপ্রিল ২০, ২০১৪
ডায়রিয়া বেড়েছে অতিরিক্ত গরমে

ffffffffffffffএকুশে সংবাদ : রাজধানীতে গরম বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাব। পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআরবি ও অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা অনেকগুন বেড়েছে। গতকাল শনিবার মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতে রোগীর সংখ্যা ছিলো প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৪ জন। যা একদিন আগেও মোট রোগী ছিলো মাত্র ৩২ জন। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশির ভাগই পানি ফুটিয়ে পান করেন না। আবার অনেকেই রাস্তার খোলা খাবার খেয়েছেন। গুনাগুন বিচার না করেই উল্টাপাল্টা খাবার খেয়েছেন। রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে বেশির ভাগ রোগী। ডায়রিয়া নিয়ে রামপুরা থেকে এসেছেন সাইফুল। তিনি জানান, কাচা পানি পান করেছে। রাতে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। কয়েকবার বমি হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আব্বাস উদ্দিন জানান, গন্ধ যুক্ত পানি পান করার ফলেই কলেরা হয়েছে। আর মিরপুর থেকে আসা কারিমা বেগম জানান, বাসি খাবার গ্রহণ এবং অতিরিক্ত গরমের ফলেই ডায়রিয়া হয়েছে তার। এ বিষয়ে আইসিডিডিআরবি এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আজহারুল ইসলাম খান রাইজিংবিডিকে জানান, মুলত স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে ডায়রিয়ার প্রধান কারণ। সাবান দিয়ে হাত না ধুয়ে খাওয়া কিংবা বাসি খাবার খাওয়ার কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস বেশি সক্রিয় হওয়ায় সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী বেড়ে যায়। বিশুদ্ধ পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন খাবার গ্রহণই ডায়রিয়া ও কলেরা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানেও অসংখ্য ডায়রিয়া ও কলেরা রোগীকে ভর্তি হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে ঢামেকে ৩০ জন, শিশু হাসপাতালে ৮৬ জন, সোহরাওয়ার্দীতে ৬১ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৬ জন এবং ন্যাশনাল হাসপাতালে ৫১ জন ডায়রিয়ার রোগী রয়েছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. জাকির হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, এটা ডায়রিয়া ও কলেরার সময়। তাই এ সময়টাতে এ রোগ একটু বেশি দেখা যায়। তবে এবারের বিষয়টা ভিন্ন। প্রচ- গরম আর বৃষ্টি না হওয়ায় রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ডাবের পানি আর বেশি বেশি স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে, শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক হাশেম রেজা জানান, এই গরমে শিশুদের খুব সতর্কের সহিত রাখতে হবে। খেয়াল-খুশি মতো যা ইচ্ছে তাই যেন মুখে দিতে না পারে। বুকের দুধ আর স্যালাইন বেশি করে খাওয়ানোর কথা জানান তিনি। একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/২০-০৪-১৪
Link copied!