ঘামবিহীন ঘুমের পরামর্শ
একুশে সংবাদ : প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এজন্য বিনিদ্র রাত কাটাতে হচ্ছে মানুষের। বিশেষ করে নগরীতে গরমের তীব্রতা একটু বেশি। ঘামে ভিজে নেয়ে বিছানা-বালিশ ভিজিয়ে সব শেষ। গরমের রাতে ঘামহীন ঘুমের কিছু পরামর্শ কাজে আসতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ফিমেলফার্স্ট সাময়িকীর বরাতে এ বিষয়ে ঘুম বিশেষজ্ঞ নেরিনা রামলাখানের মতামত জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইন্দো এশিয়ান নিউজ। এ প্রসঙ্গে নেরিনা রামলাখান বলেন, ‘আমাদের দেহ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে তাপমাত্রার একটা পার্থক্য প্রয়োজন হয়—দেহের কিছুটা উষ্ণতা প্রয়োজন আর মস্তিষ্কের শীতলতা।’
পরিবেশের তাপমাত্রা বেশি হয়ে গেলে দেহ-মগজের এই তাপমাত্রার পার্থক্য রাখাটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু অনেকভাবেই আমরা বাইরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও নিজেদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করতে পারি এবং গরমের রাতেও ঘামহীন ঘুমের চেষ্টা চালাতে পারি।
গরমের রাতে ঘামহীন ঘুমের জন্য করণীয়:
১. ঘরদোরে সাদা বা এমন হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করুন, যা রোদের তাপ প্রতিফলিত করে, শুষে নেয় না। আর দিনের বেলায় ভালো করে জানালায় পর্দা টানিয়ে রাখুন, যাতে ঘর বেশি গরম হয়ে না যায়।
২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে সম্ভব হলে গোসল করে নিন। তা না হলে অবশ্যই ভালো করে পা ধুয়ে, দুই হাতের কবজি ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। ঘাড়ে, গলায় একটু পানি দিন।
৩. বিছানার কাছে পানি ভর্তি একটা ছোট্ট স্প্রে রাখুন। ‘প্ল্যান্ট মিস্টার’ বা গাছে পানি দেওয়ার স্প্রে বা তেমন কিছু না থাকলে মশার ওষুধের খালি স্প্রে পরিষ্কার করে নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটা থেকে মুখে-ঘাড়ে হালকা পানি স্প্রে করতে পারেন।
৪. একটা রুমাল বা এক টুকরো নরম কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টা খানেকের জন্য ফ্রিজের ভেতর রেখে দিন। শোয়ার সময় কাপড়টা জ্বরপট্টির মতো করে কপালে দিয়ে রাখুন। এটা তা মাথা ঠান্ডা করবে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করবে।
৫. গরম অতিরিক্ত হয়ে গেলে একটা অল্প-ভেজা টি-শার্ট এবং মোজা পায়ে দিয়েও ঘুমানোর চেষ্টা করতে পারেন। তা শরীর ঠান্ডা রাখবে এবং ঘাম ঠেকাবে।
৬. অবশ্যই সুতি এবং নরম কাপড়ের বিছানার চাদর ব্যবহার করুন। আর বিছানার চাদর ও বালিশের কভার নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করুন।
৭. সবশেষ কথা হলো দিনে যতটা সম্ভব বেশি করে পানি খান, সুস্থভাবে কাটানোর চেষ্টা করুন। তার পরও ঘুম না এলে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করুন, তাতে রাতের ঘুম ভালো না হলেও বাড়তি চাপের কারণে পরের দিনটা খারাপ যাবে না, বরং দিনটা সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারে।
একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/২১-০৪-১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :